বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট মালিক কিথ ম্যাকনালি, যিনি জেমস কর্ডেনকে তার রেস্টুরেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, সম্প্রতি এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই তিনি এমনটা করেছিলেন।
অক্টোবর ২০২২ সালে বা latter-এ ঘটে যাওয়া এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া গেছে ম্যাকনালির আসন্ন আত্মজীবনী ‘আই রিগ্রেট অলমোস্ট এভরিথিং’-এ।
নিউইয়র্কের জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ‘বালথাজার’-এর মালিক ম্যাকনালি জানান, অভিনেতা জেমস কর্ডেন এর “অশোভন” আচরণের কারণে তাকে রেস্টুরেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য তিনি দুঃখও প্রকাশ করেননি।
কিন্তু ম্যাকনালি এখন স্বীকার করেছেন, কর্মীদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর চেয়ে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইনস্টাগ্রামে পরিচিতি লাভ করা। তিনি চেয়েছিলেন, তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুসারীর সংখ্যা বাড়ুক।
ম্যাকনালির মতে, কর্ডেনকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করার কারণ ছিল মূলত তার রেস্টুরেন্টের তরুণ কর্মীদের মন জয় করা। ম্যাকনালি বলেন, তিনি তখন উপলব্ধি করতে পারেননি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো মতামত প্রকাশ করার কত বড় প্রভাব পড়তে পারে।
একজন খ্যাতিমান ব্যক্তির সম্মানহানি করার বিষয়েও তিনি সে সময় যথেষ্ট সচেতন ছিলেন না।
ঘটনার শুরুটা ছিল এমন – ম্যাকনালি প্রথমে কর্ডেনকে ‘ছোট মাপের’ এবং ‘সবচেয়ে খারাপ গ্রাহক’ হিসেবে বর্ণনা করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। এরপর তিনি জানান, কর্ডেনকে তার রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং এর ফলস্বরূপ, কর্ডেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়। ম্যাকনালির মতে, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে কর্ডেন তাকে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকবার ফোন করেছিলেন।
ম্যাকনালি তখন ‘ক্ষমতার নেশায়’ ছিলেন এবং ডিকটেটরের মতো আচরণ করেছিলেন।
অবশেষে, কর্ডেনের ক্ষমা চাওয়ার পর, ম্যাকনালি তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। তিনি বলেন, অতীতে তিনি নিজেও কর্ডেনের চেয়ে খারাপ আচরণ করেছেন, কিন্তু ক্ষমা চাইতে পারেননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষমতা সম্পর্কে ম্যাকনালির এই স্বীকারোক্তি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অনলাইনে প্রকাশিত তথ্যের সত্যতা যাচাই করা কতটা জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে যে কারও সম্মানহানি হতে পারে।
একটি ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কারও ক্যারিয়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল