শিরোনাম: ‘মাইনক্রাফট মুভি’-র প্রদর্শনে টিকটক-এর ‘চিকেন জকি’ ট্রেন্ড, সিনেমা হলগুলোতে সতর্কতা
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল কত কিছুই না ভাইরাল হয়! সম্প্রতি, ‘মাইনক্রাফট মুভি’ (A Minecraft Movie) নিয়ে বিশ্বজুড়ে সিনেমাহলগুলোতে দেখা যাচ্ছে এক নতুন উৎপাত।
টিকটকে ‘চিকেন জকি’ নামে একটি ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, যেখানে সিনেমা দেখতে আসা কিছু দর্শক ছবির বিশেষ কিছু দৃশ্যে হৈ-হুল্লোড় করছেন, চিৎকার করছেন এবং পপকর্ন ছুঁড়ছেন।
‘চিকেন জকি’ ট্রেন্ড মূলত ছবিটির একটি দৃশ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে অভিনেতা জ্যাক ব্ল্যাক-কে একটি ‘চিকেন জকি’ শব্দ বলতে শোনা যায়। আর এই দৃশ্যেই দর্শকদের মধ্যে চরম উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে।
এর ফলস্বরূপ, সিনেমা হলগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ছবি প্রদর্শনে সমস্যা হচ্ছে।
এই ধরনের অসামাজিক আচরণ রুখতে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সিনেমা হল দর্শকদের সতর্ক করে নোটিশ জারি করেছে।
ব্রিটেনের কয়েকটি সিনেমা হল, যেমন – সিনeworld উইটনি, রেডওয়ে সিডমাউথ এবং রিল ফারেহাম-এ, দর্শকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, যারা এই ধরনের আচরণ করবে, তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হবে এবং টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
ওয়েলসের নিউটাউনের রিজেন্ট সিনেমা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তারা এই বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করবে।
অর্থাৎ, কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে, সঙ্গে সঙ্গে ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির টাউনশিপ থিয়েটারে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের একা সিনেমা দেখতে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৪ঠা এপ্রিল, সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনার পরে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছে, “কিছু তদারকহীন নাবালক দর্শকের দল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য আচরণ করেছে।”
সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের আচরণের বিষয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছে।
অন্যদিকে, ‘মাইনক্রাফট মুভি’ বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই এটি উত্তর আমেরিকায় একটি ভিডিও গেমের সিনেমা হিসেবে সর্বোচ্চ আয় করেছে এবং বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ৩,৩০০ কোটি টাকার বেশি) আয় করেছে।
যদিও এই ধরনের ট্রেন্ড এখনো বাংলাদেশে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করেনি, তবে সিনেমা হলগুলোয় দর্শকদের এই ধরনের আচরণ নিঃসন্দেহে উদ্বেগের কারণ।
সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian