“মাইনক্রাফট মুভি”-র উন্মাদনা: সিনেমা হলে দর্শকদের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া “এ মাইনক্রাফট মুভি” নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। তবে এই উন্মাদনা যেন এক নতুন রূপ নিয়েছে, যা আগে খুব একটা দেখা যায়নি।
খেলাচ্ছলে সিনেমার কিছু সংলাপ বলার পাশাপাশি, অনেকে গান গেয়েও ছবিটির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করছেন। টিকটকের দৌলতে এই সিনেমার কিছু দৃশ্য নিয়ে তৈরি হওয়া মিম (Meme) যেন দর্শকদের আরও কাছাকাছি এনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সিনেমা হলে, দর্শকদের মধ্যে এমন উন্মাদনা দেখা গেছে যে, ছবি চলার সময় শোরগোল করায় কয়েকজনকে হল থেকে বের করে দিতে হয়েছে। কেউ কেউ আবার খেলাচ্ছলে তাদের প্রিয় চরিত্রদের দৃশ্য চলাকালীন সময়ে চিৎকার করে নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি হয়তো এখনো সেভাবে দেখা না গেলেও, সিনেমা হলে দর্শকদের এমন আচরণ বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই প্রজন্মের দর্শকদের সিনেমা দেখার ধরন বদলে গেছে। তারা এখন শুধু দর্শক নয়, বরং ছবির সঙ্গে একাত্ম হয়ে উদযাপন করতে চায়।
“এ মাইনক্রাফট মুভি” মূলত মাইনক্রাফট নামক জনপ্রিয় একটি ভিডিও গেমের গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। গেমটির অনুরাগী এবং ইউটিউবারদের মধ্যে যারা এর সঙ্গে পরিচিত, তারা ছবিটিতে তাদের প্রিয় চরিত্রদের উপস্থিতি দেখে উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন।
সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যে গেমের নানান বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করছে।
তবে, সিনেমা হলে এমন উন্মাদনা সব দর্শকের জন্য সবসময় উপভোগ্য নাও হতে পারে। বিশেষ করে যারা অটিজম (Autism) আক্রান্ত অথবা ছোট শিশু, তাদের জন্য এমন পরিবেশ অনেক সময় ভীতিকর হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে সিনেমা হল মালিকদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে তারা বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে, যেখানে সবাই মিলে ছবিটি উপভোগ করতে পারবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, সিনেমা এবং দর্শকদের মধ্যেকার সম্পর্ক নতুন রূপ নিচ্ছে। “এ মাইনক্রাফট মুভি”-র এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ হলো, নির্মাতারা দর্শকদের রুচি এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে সিনেমা তৈরি করেছেন।
ভবিষ্যতে, সিনেমা নির্মাতারা হয়তো এই ধরনের বিষয়গুলো আরও গুরুত্ব দেবেন, যাতে সিনেমা হলগুলোতে সবাই মিলে একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান