বিখ্যাত জাদুকর ডেভিড ব্লেইন, যিনি তাঁর শ্বাসরুদ্ধকর সব কীর্তির জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং দুঃসাহসিক কার্যকলাপ নিয়ে মুখ খুলেছেন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘ডেভিড ব্লেইন: ডু নট অ্যাটেম্পট’-এর শুটিংয়ের জন্য তিনি ঘুরেছেন বিশ্বজুড়ে, আর সেই ভ্রমণের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন।
ডেভিড ব্লেইন সবসময়ই ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন। তাঁর মতে, যারা জীবনের ঝুঁকি নিতে ভালোবাসে, তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো আর্কটিক সার্কেল।
বরফের নিচে ডুব দিয়ে শ্বাস ধরে রাখা, উল্টো হয়ে নাচ করা—এসবের মধ্যে অন্যরকম এক জগৎ রয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
এই ভ্রমণের সময় ব্লেইন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। তিনি সেখানকার সংস্কৃতি, সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা কাছ থেকে দেখেছেন।
ভারতের কুরুক্ষেত্র, ঋষিকেশ ও জয়পুরে গিয়ে তিনি সেখানকার সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কে নতুন ধারণা লাভ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার নেভিলের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়, যিনি ব্ল্যাক মাম্বা সাপের আশেপাশে শান্তভাবে ধ্যান করেন।
ব্লেইন মনে করেন, সাপের সঙ্গে নিরাপদে থাকার চাবিকাঠি হলো শান্ত থাকা।
জাপানে গিয়ে তিনি হট ডগ-খোর চ্যাম্পিয়ন তাকেরু কোবায়াশিকে দেখেন, যিনি তাঁর খাবার গ্রহণের কৌশল দিয়ে ব্লেইনকে মুগ্ধ করেন।
শুধু তাই নয়, ব্লেইন তাঁর ভ্রমণের খুঁটিনাটি সম্পর্কেও জানিয়েছেন। সব সময় তিনি তাড়াহুড়ো করে চলেন, তাই বিমানবন্দরে দ্রুত যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে করে যান।
এছাড়া, ভ্রমণের সময় কী কী জিনিস সাথে রাখেন, তার একটি তালিকাও তিনি শেয়ার করেছেন।
তাঁর দরকারি জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট, চার্জার, টয়লেট্রিজ, আইড্রপ, অ্যাপল ওয়াচ, সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, নোটবুক ও শার্পি।
পোশাকের মধ্যে থাকে কালো জিন্স, টি-শার্ট, আন্ডারওয়্যার, মোজা, সাঁতারের পোশাক এবং বেসবল ক্যাপ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—একাধিক কার্ডের ডেক।
ডেভিড ব্লেইনের মতে, প্রতিটি স্থানেই রয়েছে নিজস্ব আকর্ষণ।
তাঁর মতে, যেকোনো স্থানেই জাদু খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ভ্রমণের সময় তিনি স্থানীয় সংস্কৃতি থেকে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন।
যারা নিজেদের কাজে পারদর্শী, তাদের থেকে তিনি সবসময় শিখতে চান।
বর্তমানে তিনি ‘ডেভিড ব্লেইন: লাইভ ইন লাস ভেগাস’ নামে একটি শো করছেন।
লাস ভেগাস তাঁর পছন্দের একটি জায়গা, কারণ এখানে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষজন একসাথে বসবাস করে।
ডেভিড ব্লেইনের এই ভ্রমণের মূল বার্তা হলো—জীবনে এগিয়ে যেতে হলে সবসময় নতুন কিছু শিখতে হবে এবং নিজের কাজের প্রতি প্যাশন থাকতে হবে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার