যুদ্ধটা আসলে কাদের সঙ্গে? শিরোনামটি শুনলে মনে নানা প্রশ্ন জাগে। বর্তমান বিশ্বে, যেখানে বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা চলছে, সেখানে এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সামরিক কৌশল, এমনকি সামাজিক আন্দোলন—সব ক্ষেত্রেই এই ‘কাদের সঙ্গে যুদ্ধ’ বিষয়টি প্রাসঙ্গিক।
ধরুন, একটি দেশের সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কোন মিত্রদের সঙ্গে জোট বাঁধবে। এর পেছনে থাকতে পারে অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সামরিক নিরাপত্তা অথবা আদর্শগত মিল।
আবার, কোনো গেরিলা সংগঠন হয়তো তাদের সংগ্রামের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে তারা কাদের বিরুদ্ধে লড়বে, তাদের কৌশল কী হবে—এসব বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সামরিক দিক থেকে দেখলে, দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট এবং সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়। এখানেও প্রশ্ন আসে, তারা কোন দেশের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী তাদের সামরিক প্রস্তুতি কেমন হবে।
উদাহরণস্বরূপ, দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যদি সীমান্ত বিরোধ থাকে, তবে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিতে পারে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও এই ‘যুদ্ধ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা—এগুলো এক ধরনের অর্থনৈতিক যুদ্ধ।
উন্নত দেশগুলো প্রায়ই উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নির্ধারণ করার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে।
অন্যদিকে, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগঠন তাদের প্রতিপক্ষ নির্বাচন করে।
তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে এবং কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তা নির্ধারণ করে। যেমন, পরিবেশ আন্দোলনগুলো প্রায়ই বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সুতরাং, ‘কাদের সঙ্গে যুদ্ধ’—এই প্রশ্নটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল সামরিক সংঘাতের বিষয় নয়, বরং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কগুলোকেও প্রভাবিত করে।
এই সিদ্ধান্তগুলো প্রতিটি দেশের ভবিষ্যৎ এবং জনগণের জীবনযাত্রার উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা