**ক্যালিফোর্নিয়ার বন্ধুরা, পরিত্যক্ত শহরকে নতুন রূপে ফেরালেন পর্যটনের মাধ্যমে**
ক্যালিফোর্নিয়ার এক নির্জন অঞ্চলে, একদা পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত ‘জ্যাকুম্বা হট স্প্রিংস’ নামের একটি শহর সময়ের সাথে সাথে তার জৌলুস হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু কয়েকজন উদ্যমী বন্ধুর হাত ধরে, শহরটি আবার ফিরে পেয়েছে তার হারানো গৌরব।
এই বন্ধুত্বের গল্প, কিভাবে একটি পরিত্যক্ত স্থানকে নতুন করে সাজানো যায়, সেই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
স্যান দিয়েগোর বাসিন্দা, মেলিসা স্ট্রুকল, তাঁর দুই বন্ধু – করবিন উইন্টার্স ও জেফ ওসবোর্নের সাথে মিলে ২০২০ সালে এই শহরের একটি পুরনো মোটেল এবং তার আশেপাশের কিছু সম্পত্তি কিনে নেন।
এক সময়ের জনপ্রিয় এই শহরটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক তৈরির ফলে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তার আকর্ষণ হারায়।
পুরনো দিনের সেই আকর্ষণ ফিরিয়ে আনাই ছিল তাঁদের প্রধান লক্ষ্য।
জ্যাকুম্বা হট স্প্রিংস-এর প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার খনিজ সমৃদ্ধ গরম জলের ঝর্ণা।
এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে, বন্ধু ত্রয়ী পুরনো হোটেলটিকে সংস্কার করেন এবং শহরের অন্যান্য পরিত্যক্ত স্থানগুলো নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করেন।
পুরনো দিনের স্থাপত্যরীতি বজায় রেখে, তাঁরা হোটেলটিকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন রূপ দেন।
এখানে তৈরি করা হয়েছে আকর্ষণীয় সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্ট এবং বিনোদনের অন্যান্য ব্যবস্থা।
শুধু হোটেল তৈরি করাই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না, তাঁরা চেয়েছিলেন পুরো শহরটির জীবন ফিরিয়ে আনতে।
তাঁরা পুরনো একটি লেকের সংস্কার করেন, যা এখন স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত।
পুরনো একটি বাথহাউস, যা একসময় আগুনে পুড়ে গিয়েছিল, সেটি পুনরুদ্ধার করে সেখানে কনসার্ট এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্ধুত্রয় এই শহরের উন্নয়নে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও পাশে পেয়েছেন।
তাঁদের তত্ত্বাবধানে, স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে স্বল্প মূল্যে খাবার পাওয়া যায়, যেমন কফি ২ ডলারে (প্রায় ২২০ টাকা) এবং প্যানকেক ও ডিম ৬ ডলারে (প্রায় ৬৬০ টাকা)।
স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাঁদের জীবনযাত্রার পরিবর্তনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
তাঁদের মতে, এই বন্ধুদের কারণে শহরে নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে এবং পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।
ভবিষ্যতে, এই বন্ধুরা এখানে আরও রেস্টুরেন্ট, দোকান এবং একটি রেকর্ডিং স্টুডিও তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন।
তাঁদের লক্ষ্য, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং এই শহরটিকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা।
এই সাফল্যের গল্প, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি উন্নয়নের ধারণাটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রতিবেদন।