দলবদ্ধ ভোজনে বিল ভাগাভাগি নিয়ে বিতর্ক: মদ্যপান না করলে কি সমানভাবে খরচ দেওয়া উচিত?
বন্ধু মহলে আড্ডা দেওয়ার সময় বিল ভাগাভাগি নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়। সম্প্রতি, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে মদ্যপান না করা একজন বন্ধুর কারণে বিলের হিসাব নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় কয়েকজন বন্ধুর এক সাথে দুপুরের খাবার খেতে যাওয়ার মাধ্যমে। এদের মধ্যে একজন নতুন বন্ধু ছিলেন, যিনি মদ্যপান করেননি।
খাবারের বিল দেওয়ার সময়, ওই নতুন বন্ধুটি তাঁর পানীয়ের খরচ বাদ দিয়ে হিসাব করতে বলেন, কারণ তিনি শুধু কোমল পানীয় পান করেছিলেন।
বন্ধুদের মধ্যে যারা মদ্যপান করেছিলেন, তাঁরা বিলের এই অংশে তাঁদের পানীয়ের খরচ ভাগ করে দেন।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওই নতুন বন্ধুটি খাবারের শেষে মিষ্টি জাতীয় একটি পদ খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন। তিনি একা খাচ্ছিলেন না, বরং সবাইকেই খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিল পরিশোধের সময় তিনি কোনো টিপস দেননি।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক বন্ধু, যিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ভবিষ্যতে ওই নতুন বন্ধুটিকে সাথে নিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে যেতে নিষেধ করার কথা ভাবছেন।
তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছে, মদ্যপান না করলে কি বিলের পুরোটা দিতে হবে?
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে অনেকে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন।
কেউ কেউ মনে করেন, যিনি মদ্যপান করেননি, তাঁর সমানভাবে বিল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার কারো মতে, সামান্য পরিমাণ পানীয়ের জন্য বিল ভাগাভাগিতে আপত্তি থাকতে পারে না, তবে অনেক বেশি মদ্যপান করলে হিসাবটা ভিন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশেও বন্ধুদের সাথে খাওয়াদাওয়া করার সময় বিল ভাগাভাগি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রীতি প্রচলিত আছে।
সাধারণত, সবাই নিজেদের খাবারের খরচ পরিশোধ করে, তবে অনেক সময় খরচ সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ারও চল দেখা যায়।
এই বিতর্কের মূল বিষয় হলো, দলবদ্ধভাবে খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক শিষ্টাচার এবং খরচের হিসাব কীভাবে করা হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল