এয়ারবিএনবি-র ভাড়ার ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এখন থেকে, এই প্ল্যাটফর্মে ঘর ভাড়া করার সময়, মোট খরচটি শুরুতেই দেখানো হবে। এতদিন শুধুমাত্র প্রতি রাতের ভাড়ার হিসাব দেখানো হতো।
কিন্তু নতুন এই নিয়মের ফলে, ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ভাড়ার সঙ্গে অন্যান্য চার্জ ও ট্যাক্সসহ মোট কত টাকা দিতে হবে, তা দেখতে পারবেন।
এয়ারবিএনবি কর্তৃপক্ষের মতে, এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো গ্রাহকদের কাছে ভাড়ার বিষয়টি আরও স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা। বিশেষ করে, অনেক সময় দেখা যায়, ঘর ভাড়ার সময় অতিরিক্ত কিছু ফি যোগ করা হয়, যা গ্রাহকদের কাছে এক ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়।
নতুন এই নিয়মের ফলে, ব্যবহারকারীরা শুরুতেই সব খরচ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এই পরিবর্তনের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন কিছু ফেডারেল আইন। আগামী ১২ই মে থেকে এই আইন কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
এই আইনে, হোটেল, টিকিট এবং স্বল্প-মেয়াদী ভাড়ার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোকে তাদের মোট খরচের মধ্যে লুকানো ফি অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ‘অতিরিক্ত’ চার্জ নেওয়ার আগে, তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে সেই সম্পর্কে জানাতে হবে।
এয়ারবিএনবি অবশ্য নতুন এই নিয়ম চালু করার আগে থেকেই, কয়েকটি দেশে এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছিল। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ইউরোপের কিছু অংশে এটি চালু করা হয়।
এরপর ২০২২ সাল থেকে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রেও এই নিয়মটি চালু হয়, এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ অতিথি এই সুবিধাটি ব্যবহার করেছেন।
এয়ারবিএনবি দাবি করেছে, এই নতুন ব্যবস্থার কারণে অনেক হোস্ট তাদের ক্লিনিং ফি কমিয়ে দিয়েছেন। ২০২৩ সালে, প্রায় ৩ লক্ষ তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে এই ফি কমানো হয়েছে অথবা একেবারে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তাদের মতে, সক্রিয় তালিকাগুলোর মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্লিনিং ফি-এর পরিমাণ হ্রাস করেছে।
এই পরিবর্তনের ফলে, যারা দেশের বাইরে ভ্রমণ করেন এবং এয়ারবিএনবি-র মাধ্যমে থাকার ব্যবস্থা করেন, তাদের জন্য সুবিধা হবে। কারণ, এখন থেকে তারা সহজেই মোট খরচ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন