শিরোনাম: বিয়ের পর যুগ্ম পদবী: ছেলের সিদ্ধান্তে মায়ের আপত্তি, আধুনিকতার ছোঁয়া?
সাধারণভাবে, বিয়ের পর যুগ যুগ ধরে নারীরা স্বামীর পদবী গ্রহণ করে আসছেন। তবে আধুনিক বিশ্বে, বিশেষ করে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে, এই ধারণায় পরিবর্তন আসছে।
অনেক দম্পতি বিয়ের পর দু’জনের পদবীকে একত্রিত করে যুগ্ম পদবী ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এই ধরনের পরিবর্তন ঐতিহ্য আর আধুনিকতার এক মিশ্রণ, যা অনেক সময় পারিবারিক দ্বন্দ সৃষ্টি করতে পারে।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একটি পরিবারে এমন ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে আলোচনা চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক দম্পতির বিয়ের পর তাদের পদবী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। ছেলের মা এই সিদ্ধান্তে বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে তার ছেলে এবং তার হবু স্ত্রী তাদের বিয়ের পর পদবীকে একত্র করার পরিকল্পনা করছেন।
ছেলের মায়ের মতে, এই ধরনের পদবী ব্যবহার করা বেশ কঠিন হবে, বিশেষ করে যখন তাদের সন্তান হবে। পদবীটি এমনিতেই বেশ দীর্ঘ হবে, কারণ হবু স্ত্রীর পদবীটি “উইলিয়ামসন”-এর মতো লম্বা এবং ছেলের পদবীটি আট অক্ষরের, যা উচ্চারণেও বেশ সময় লাগবে।
ছেলের মা আরও জানিয়েছেন যে তিনি এই সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে সন্দিহান। তিনি মনে করেন, ছেলে হয়তো বিষয়টি ভালোভাবে চিন্তা করেনি।
যখন তিনি ছেলেকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন ছেলে জানায় যে প্রথমে সে বিষয়টি সেভাবে বিবেচনা করেনি, কিন্তু তার হবু স্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে সে রাজি হয়েছে। মায়ের মতে, ছেলের এই সিদ্ধান্ত হয়তো বাস্তবতার নিরীখে সঠিক নয়।
ছেলের মা তার উদ্বেগের কথা জানিয়ে একটি অনলাইন ফোরামে প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, এই বিষয়ে অন্যদের মতামত কি।
তার স্বামীও এই সিদ্ধান্তে খুশি নন, তবে তিনি এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। ছেলের এই সিদ্ধান্তে তার শ্বশুর-শাশুড়িও হতাশ।
ফোরামের সদস্যরা দ্রুত তাদের মতামত জানান। বেশিরভাগ সদস্য মনে করেন, মায়ের এই আপত্তি করাটা ঠিক নয়।
তাদের মতে, এটি সম্পূর্ণভাবে নবদম্পতির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং তাদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, যদি পদবীর দৈর্ঘ্য নিয়ে সমস্যা হয়, তবে ছেলেকে তার স্ত্রীর পদবী গ্রহণ করতে বলতে পারেন।
এই ঘটনাটি আধুনিক সমাজে পরিবার এবং ঐতিহ্যগত রীতিনীতির মধ্যেকার পরিবর্তনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিয়ের পরে পদবী পরিবর্তনের এই প্রবণতা, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে বাড়ছে, যা বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই ধরনের সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন আধুনিকতার পরিচয় বহন করে, তেমনি পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল