রোজান ক্যাশ, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী জনি ক্যাশের কন্যা, তাঁর সুরেলা কণ্ঠ এবং গানের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তবে, তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় সম্ভবত তিনি পাঁচ সন্তানের জননী।
তাঁদের প্রত্যেকের জীবন, পেশা এবং মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের এক ভিন্ন জগৎ রয়েছে। আসুন, তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রোজান ক্যাশের প্রথম সন্তান হলেন হান্না ক্রাউয়েল। ১৯৭৯ সালে রোজান সঙ্গীতশিল্পী রডনি ক্রাউয়েলকে বিয়ে করেন এবং হান্নাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসেন।
হান্না, রডনির আগের পক্ষের স্ত্রী মারথা ড্যান্ট ওয়াটসের কন্যা। হান্না বর্তমানে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং তাঁর নিজস্ব ডিজাইন স্টুডিও চালান।
মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন।
রোজান ও রডনির প্রথম সন্তান ক্যাটলিন রিভার্স ক্রাউয়েল, জন্ম ১৯৮০ সালে। ক্যাটলিন ছোটবেলা থেকেই কিছুটা দুঃসাহসী ছিলেন।
তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে যান এবং সঙ্গীত শিল্পে পাবলিক রিলেশন ও লাইসেন্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। ক্যাটলিন ২০১৪ সালে ফটোগ্রাফার স্যাম এস্টি রেইনারকে বিয়ে করেন।
চেলসি জেন ক্রাউয়েলের জন্ম ১৯৮২ সালে। তিনি বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর নিউইয়র্কে চলে আসেন এবং সেখানে ঘোড়দৌড়ের প্রতি আকৃষ্ট হন।
চেলসি পরে মেমফিস কলেজ অফ আর্ট থেকে ফটোগ্রাফি ও ভিজ্যুয়াল আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করেন, তবে তাঁর আসল ভালোবাসা ছিল সঙ্গীত ও লেখালেখি।
তিনি একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং লেখক হিসেবে পরিচিত। চেলসি বর্তমানে “দি টেনিসি লুকআউট” এবং “রোলিং স্টোন”-এর মতো প্রকাশনার জন্য সাংবাদিকতা করেন।
২০১৫ সালে তিনি সঙ্গীতশিল্পী টেরি কেইনকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, যার নাম এভি ক্রাউয়েল ক্যাশ কেইন।
রোজান ও রডনির কনিষ্ঠ কন্যা ক্যারি ক্যাথলিন ক্রাউয়েলের জন্ম ১৯৮৮ সালে। তিনি তাঁর মায়ের মতোই সৃজনশীল।
ক্যারি একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং ২০১৬ সালে একটি ফুলের ডিজাইন কোম্পানি শুরু করেন। ২০১৪ সালে তিনি ড্যান নবলারকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে।
রোজান ক্যাশ এবং তাঁর দ্বিতীয় স্বামী জন লেভেনথালের একমাত্র পুত্র, জ্যাকব উইলিয়াম লেভেনথাল, জন্ম ১৯৯৯ সালে। জ্যাকব ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো থেকে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন।
বর্তমানে তিনি একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে পরিচিত। ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম “ওহ, সো বিটারসুইট!” প্রকাশিত হয়।
রোজান ক্যাশ তাঁর সন্তানদের মানুষ করতে গিয়ে মা হিসেবে নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। একদিকে যেমন তিনি তাঁর শিল্পী জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তেমনই সন্তানদের জন্য সবসময় ভালোবাসাপূর্ণ একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন।
তিনি সবসময় চেষ্টা করেছেন তাঁর সন্তানদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে, যা তাঁদের নিজস্ব পথে সাফল্যের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: পিপল