আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন পণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে, এমন একটি খবর প্রায়ই শোনা যায়।
সম্প্রতি, চীন থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের বাজারেও কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষ করে, প্রযুক্তিপণ্য, পোশাক, এবং ভ্রমণের সরঞ্জাম—এগুলোর দাম বাড়ার একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, যারা নতুন গ্যাজেট, ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বা পছন্দের পোশাক কিনতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এখনই সময় হতে পারে পছন্দের জিনিসগুলো কিনে ফেলার।
কারণ, শুল্কের প্রভাবে দাম বাড়লে, হয়তো একই জিনিস কিনতে বেশি টাকা খরচ করতে হতে পারে।
আসুন, দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং সেগুলোর বাংলাদেশি বাজারে কেমন প্রভাব পড়তে পারে:
* **ইলেকট্রনিক গ্যাজেট:** স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচ—এগুলোর দাম বাড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
অ্যাপল-এর মতো ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য চীন থেকে আসে, তাই শুল্কের কারণে এদের দাম বাড়তে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপল এয়ারট্যাগ-এর একটি ৪-টির প্যাক বর্তমানে প্রায় $৮০ ডলারে পাওয়া যাচ্ছে, যা বাংলাদেশি টাকায় (১ ডলার = ১১০ টাকা ধরে) প্রায় ৮,৮০০ টাকার মতো।
দাম বাড়লে, এই গ্যাজেটগুলো কিনতে আরও বেশি টাকা খরচ হতে পারে।
* **ভ্রমণের সরঞ্জাম:** যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য লাগেজ, হেডফোন, এবং ক্যামেরা-র মতো জিনিস অপরিহার্য।
স্যামসোনাইট-এর লাগেজ, যা চীন থেকে আসে, সেগুলোর দাম বাড়তে পারে।
বর্তমানে, একটি ২-পিসের লাগেজ সেট-এর দাম প্রায় $১৫০ ডলার (১৬,৫০০ টাকা)।
এছাড়াও, নয়েজ ক্যানসেলিং হেডফোন, যেমন সনি-র WH-CH720N, -এর দামও বাড়তে পারে, যা এখন প্রায় $১০০ ডলারে (১১,০০০ টাকা) পাওয়া যাচ্ছে।
* **পোশাক ও জুতা:** পোশাকের বাজারেও শুল্কের প্রভাব পড়তে পারে।
অ্যাডিডাস-এর স্যাম্পা স্নিকারের মতো জনপ্রিয় জুতা অথবা লেভি’স-এর জিন্স-এর দাম বাড়তে পারে।
বর্তমানে, অ্যাডিডাস স্যাম্পা স্নিকার প্রায় $৭৪ ডলারে (৮,১৪০ টাকা) এবং লেভি’স জিন্স প্রায় $৩৫ ডলারে (৩,৮৫০ টাকা) পাওয়া যাচ্ছে।
* **অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস:** Kindle Paperwhite-এর মতো ই-রিডার, যা ভ্রমণের সময় বই পড়ার জন্য খুবই উপযোগী, সেগুলোর দামও বাড়তে পারে।
এছাড়াও, কোডাক-এর পিক্সপ্রো ডিজিটাল ক্যামেরার মতো ছোট ক্যামেরা, যা ছবি তোলার জন্য দারুণ, সেগুলোর দামও বাড়তে পারে।
তবে, মনে রাখতে হবে, এই দামগুলো পরিবর্তনশীল।
আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি এবং ডলারের বিনিময় হারের ওপর নির্ভর করে দাম কম-বেশি হতে পারে।
সুতরাং, যদি আপনার পছন্দের কোনো পণ্য কেনার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে এখনই কিনে ফেলতে পারেন।
কারণ, শুল্কের কারণে দাম বাড়লে, একই জিনিস কিনতে আপনাকে হয়তো বেশি খরচ করতে হবে।
তথ্য সূত্র: (Travel and Leisure)