বিখ্যাত মার্কিন অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের নিউ মেক্সিকোর বাড়িতে হ্যান্টাভাইরাস পরীক্ষার পর সেখানে মৃত ইঁদুর ও তাদের বাসা খুঁজে পাওয়া গেছে। সিএনএন-এর মাধ্যমে জানা গেছে, হ্যাকম্যান এবং তাঁর স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার মৃত্যুর পর এই পরীক্ষা চালানো হয়।
জানা গেছে, আরাকাওয়া হ্যান্টাভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
নিউ মেক্সিকো জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, হ্যাকম্যান দম্পতির সম্পত্তির আটটি আলাদা ভবনে এই পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ওই ভবনগুলোতে ইঁদুরের মল, বাসা এবং মৃত ইঁদুরের উপস্থিতি ছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এটি মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
আরাকাওয়া মারা যাওয়ার পর, হ্যাকম্যানও হৃদরোগ ও আলঝেইমার্স রোগের জটিলতার কারণে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
নিউ মেক্সিকো রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের ভেটেরিনারিয়ান এরিন ফিপস জানিয়েছেন, মূল বাসভবনে ইঁদুরের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং সেটি পরিষ্কার ছিল। পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেখানে আসা প্রথম সারির সাহায্যকারী এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
হ্যান্টাভাইরাস একটি বিরল রোগ, তবে এর সংক্রমণ হলে তা মারাত্মক হতে পারে। নিউ মেক্সিকোতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৪১ শতাংশের মৃত্যু হয়।
রোগটি প্রতিরোধের জন্য ইঁদুরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং তাদের আবাসস্থল পরিষ্কার করার সময় সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দেয় এবং এটি শনাক্ত হতে দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন