শিরোনাম: ‘সিগন্যালগেট’-এর জলঘোলার মাঝে ট্রাম্পের *দ্য আটলান্টিক*-কে সাক্ষাৎকার
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে তিনি *দ্য আটলান্টিক*-এর সম্পাদক ইন-চিফ জেফরি গোল্ডবার্গের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বসতে রাজি হয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারের মূল কারণ হলো, গোল্ডবার্গকে একটি ‘সিগন্যাল’ গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত করা হয়েছিল, যেখানে সম্ভবত গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মার্চ মাসের শেষের দিকে, যখন ন্যাশনাল সিকিউরিটি উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ অনিচ্ছাকৃতভাবে গোল্ডবার্গকে ওই গোপন চ্যাটে যুক্ত করেন। জানা গেছে, এই চ্যাটে শীর্ষ প্রতিরক্ষা উপদেষ্টারা ইয়েমেনে সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এই ঘটনার জেরে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং নিরাপত্তা প্রোটোকল লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।
ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, তিনি ‘কৌতূহল’বশত এবং নিজের সঙ্গে ‘প্রতিযোগিতা’ করার জন্য এই সাক্ষাৎকারে রাজি হয়েছেন। তার মতে, এই আলোচনার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারবেন *দ্য আটলান্টিক* তার সম্পর্কে কতটা বস্তুনিষ্ঠভাবে লিখতে পারে।
তিনি এর আগে এই প্রকাশনার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা গল্প’ লেখার অভিযোগ তুলেছিলেন, যদিও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি।
সাক্ষাৎকারটি গোল্ডবার্গের সঙ্গে *দ্য আটলান্টিক*-এর লেখক মাইকেল শেরার এবং অ্যাশলি পার্কারও নেবেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এটি “শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট” শিরোনামের একটি দীর্ঘ প্রতিবেদনের অংশ হতে পারে।
এই ‘সিগন্যালগেট’ বিতর্কের আগে, ২০২০ সালে গোল্ডবার্গ ট্রাম্প সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে তিনি যুদ্ধাহত মার্কিন সৈন্যদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ট্রাম্প সেই প্রতিবেদনটিকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ঘটনার পর, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট পিট হেগসেথ সহ অনেকে এই ঘটনাটিকে হালকাভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এমনকি, কিছু সংবাদ মাধ্যম গোল্ডবার্গকে অভিযুক্ত করে বলেছে, তিনি নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এই গ্রুপে প্রবেশ করেছেন।
এই ঘটনার জেরে, সুরক্ষিত যোগাযোগের গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গোপনীয় তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন