বিখ্যাত মডেল ক্রিস্টি ব্রিংকলি তাঁর নতুন আত্মজীবনীতে শৈশবের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।
“আপটাউন গার্ল” নামের এই আত্মজীবনীতে তিনি তাঁর বাবার দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
ব্রিংকলি জানিয়েছেন, তাঁর বাবা হার্ব হাডসন, যিনি পেশায় দুধের ব্যবসা করতেন, প্রায়ই তাঁকে মারধর করতেন।
ছোটবেলায় প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় বাবা বাড়ি ফিরতেন এবং বেল্ট দিয়ে তাঁকে পেটাতেন।
এমনকি, সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
ব্রিংকলি জানান, তিনি ভালো থাকলেও অথবা চুপচাপ থাকলেও তাঁর বাবা সবসময় যেন তাঁর ভুলের কারণ খুঁজে বের করতেন।
মাত্র আট বছর বয়সে ব্রিংকলির বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এরপর তাঁর মা টেলিভিশন লেখক ডন ব্রিংকলিকে বিয়ে করেন।
ব্রিংকলি জানিয়েছেন, তাঁর সৎ বাবা ডন ব্রিংকলি ছিলেন খুবই ভালো মানুষ এবং সবসময় তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।
হাডসন যখন ব্রিংকলি ও তাঁর বড় ভাইয়ের অভিভাবকত্বের অধিকার ত্যাগ করেন, তখন ব্রিংকলির মনে হয়েছিল, কেন তাঁর বাবা তাঁকে ভালোবাসেন না।
পরে ডন ব্রিংকলি তাঁদের দায়িত্ব নিতে রাজি হন এবং ব্রিংকলি মুক্তি অনুভব করেন।
ব্রিংকলি আরও জানিয়েছেন, এই বই লেখার সময় তাঁর অনেক কষ্ট হয়েছে।
তাঁর ভাষায়, “পুরোনো স্মৃতিগুলো যেন একটা ভাঙা ফিল্মের মতো ছিল, যেখান থেকে কিছু দৃশ্য কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তাঁর মায়েরও বাবার সঙ্গে খারাপ কিছু স্মৃতি ছিল, যে কারণে মা যেন অতীতের সেই অংশ মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন।
ব্রিংকলির ভাষায়, ডন ব্রিংকলিই ছিলেন তাঁর বাবা।
ব্রিংকলি তাঁর মা ও সৎ বাবার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁরা একে অপরের প্রতি খুবই ভালো ছিলেন।
তাঁদের ভালোবাসা, হাসি এবং একে অপরের প্রতি যত্ন নেওয়ার বিষয়টি ছিল খুবই সুন্দর।
তিনি মনে করেন, সত্যিকারের ভালোবাসা এখনো টিকে থাকে এবং তা শেষ পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারে।
ক্রিস্টি ব্রিংকলির আত্মজীবনী “আপটাউন গার্ল” আগামী ২৯শে এপ্রিল হার্পার ইনফ্লুয়েন্স থেকে প্রকাশিত হবে।
বইটি এখন প্রি-অর্ডার করা যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস ম্যাগাজিন