গত ২০শে এপ্রিল, উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে ইস্টার ম্যাটিংস সার্ভিসে অংশ নিয়েছিলেন রাজকুমারী ইউজেনিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী জ্যাক ব্রুকসব্যাঙ্ক এবং রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও কুইন ক্যামিলাও।
ঐতিহ্যপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে রাজকুমারী ইউজেনিকে দেখা যায় সাদা রঙের একটি কোটে, যা ছিল তাঁর রুচিশীলতার প্রমাণ। পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপি পরেছিলেন তিনি, যা তাঁর সাজসজ্জাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।
২০১৮ সালের অক্টোবরে এই সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে জ্যাক ব্রুকসব্যাঙ্কের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ইউজেনিয়া। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে তিনি সর্বশেষ ইস্টার ম্যাটিংস সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন।
তখন তিনি তাঁর দ্বিতীয় সন্তান আর্নেস্টের গর্ভবতী ছিলেন। আর্নেস্ট মে মাসে জন্ম নেয়, যা ছিল তাঁর কাকা রাজা তৃতীয় চার্লসের সিংহাসনে আরোহণের কয়েক সপ্তাহ পরের ঘটনা।
ইউজেনিয়া ও জ্যাকের আরও একটি পুত্রসন্তান রয়েছে, যার নাম অগাস্ট। তাঁরা তাঁদের সময় যুক্তরাজ্য এবং পর্তুগালের মধ্যে ভাগ করে নেন, কারণ জ্যাকের কর্মজীবনের সূত্রে তাঁদের পর্তুগালে বসবাস করতে হয়।
পর্তুগালে শুধু ইউজেনিয়া ও তাঁর পরিবারই নয়, একই স্থানে বসবাস করেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলও। জানা গেছে, তাঁরা সেখানে একটি অবকাশ যাপনের বাড়ি কিনেছেন।
এই কারণে ইউজেনিয়া ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁদের দেখা সাক্ষাৎ করা সহজ হয়।
প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে তাঁর বোন ইউজেনির সম্পর্ক সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের খবর শোনা গেলেও, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁদের সম্পর্ক আগের মতোই অটুট রয়েছে।
ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দাবি করেছিলেন, প্রিন্স হ্যারি ও ইউজেনির মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয়। তবে সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্ক এখনো আগের মতোই দৃঢ় রয়েছে।
রাজকুমারী ইউজেনির বাবা-মা প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও সারাহ ফার্গুসনও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ১৯৯৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ করলেও, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল