যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার আমেরিকান ফুটবল লিগ, ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) ২০২৩ সালের ড্রাফটে সবার শেষে খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কোবি মাইনর।
মেমফিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা এই কর্নারব্যাককে বেছে নিয়েছে নিউ ইংল্যান্ড প্যাট্রিয়টস। এনএফএল-এর নিয়ম অনুযায়ী, ড্রাফটের একেবারে শেষ খেলোয়াড়টিকে ‘মি. ইরেলেভেন্ট’ বা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এই বিশেষ খেতাবটি মূলত খেলোয়াড়টিকে হাসিখুশি রাখতে এবং খেলাধুলায় তাঁর যাত্রা উদযাপন করার একটি উপায়।
সাধারণত, এনএফএল ড্রাফটে সবার শেষে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের খুব বেশি পরিচিতি থাকে না।
তবে ‘মি. ইরেলেভেন্ট’ খেতাবটি তাঁদের জন্য একটি দারুণ সুযোগও বটে। কারণ, এর মাধ্যমে তাঁরা পরিচিতি পান এবং তাঁদের প্রতি সবার আগ্রহ বাড়ে।
কোবি মাইনর নিজেও বিষয়টি বেশ উপভোগ করছেন। ড্রাফটের পর তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় তেমন পরিচিত কেউ ছিলাম না। শীর্ষ খেলোয়াড়দের মধ্যে আমার নাম ছিল না।
তাই আমার কাছে এটা নতুন কিছু নয়। আমি মাঠে নামব এবং আমার সেরাটা দেব।’
কোবি মাইনর টেক্সাস টেক এবং ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলার পর মেমফিস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
সিনিয়র হিসেবে শেষ মৌসুমে তিনি ৩৮টি ট্যাকল করেন, দুটি সেক করেন, দুটি ফাম্বল করেন এবং ৬টি পাস ডিফ্লেকশন করেন।
‘মি. ইরেলেভেন্ট’ ধারণাটির জন্ম হয় ১৯৭৬ সালে।
প্রাক্তন খেলোয়াড় পল সালাতা, যিনি নিজেও একসময় ড্রাফটে দশম রাউন্ডে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই বছর ৪৭৮তম বাছাই হওয়া খেলোয়াড় কেভিন কার্ককে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার নিউপোর্ট বিচে ‘ইরেলেভেন্ট উইক’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
বর্তমানে সালাতার মেয়ে মেলানি সালাতা-ফিঞ্চ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এই আয়োজনে প্যারেড, ভোজ এবং গলফ টুর্নামেন্টের মতো নানা আয়োজন থাকে।
খেলোয়াড়দের জন্য ডিজনিল্যান্ড এবং প্লেবয় ম্যানশনের মতো বিশেষ ভ্রমণেরও ব্যবস্থা করা হয়।
এই খেতাব জয়ীদের মধ্যে কেউ কেউ দারুণ সাফল্যও পেয়েছেন।
যেমন, ২০১৯ সালের ‘মি. ইরেলেভেন্ট’ ছিলেন ব্রক পার্ডি।
তিনি সান ফ্রান্সিসকো ফোরty-নাইনর্স-এর হয়ে খেলেন এবং দ্রুত দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন।
এছাড়া, ২০০৯ সালের ‘মি. ইরেলেভেন্ট’ ছিলেন কিকার রায়ান সাকপ।
তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত এনএফএল-এ খেলেছেন এবং ২০২১ সালে ট্যাম্পা বে বুকানিয়ার্সের হয়ে সুপার বোল জিতেছেন।
কোবি মাইনরের জন্য এনএফএল-এ সামনে দারুণ একটি পথ অপেক্ষা করছে।
তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘মি. ইরেলেভেন্ট, আমি এটা গ্রহণ করছি।’
এখন দেখার বিষয়, এই তরুণ খেলোয়াড় তাঁর প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে কতটা সফল হন।
তথ্য সূত্র: CNN