লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হয়, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এলাকাটি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রাত ১১টা) ওই এলাকায় তীব্র ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা বা হতাহতের খবর আছে কিনা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গ্যালান্টের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরুতে হিজবুল্লাহর একটি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ ছিল।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রেই এক বিবৃতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের, বিশেষ করে হাদাত এলাকা থেকে, নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছিলেন। তিনি জানান, হিজবুল্লাহ ওই এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল এবং বেসামরিক নাগরিকদের ৩০০ মিটার দূরে সরে যাওয়া উচিত।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা ইসরায়েলকে অবিলম্বে এই আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে।
গত নভেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবে দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এসব হামলায় হিজবুল্লাহর জঙ্গি ও স্থাপনাগুলোই তাদের লক্ষ্য।
তবে বৈরুত শহরে হামলা তুলনামূলকভাবে বিরল। এর আগে ১ এপ্রিল ইসরায়েলি বাহিনী বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকায় আঘাত হানে। কয়েক দিন আগেও তারা একই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যেকার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং এর আগেও বিভিন্ন সময়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সর্বশেষ এই হামলার ফলে যুদ্ধবিরতি কতটা টেকসই হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে খবরটি আপডেট করা হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন