দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল ফুটবল ক্লাব। এবারের জয় যেন সমর্থকদের জন্য এক অসাধারণ উদযাপন নিয়ে এসেছে, যা ২০১৯-২০ মৌসুমে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সম্ভব হয়নি।
সেই সময়, বিজয়ী হওয়ার পরেও, মাঠে দর্শকশূন্যতার কারণে আনন্দটা ছিল অপূর্ণ। এবার যেন সেই অতৃপ্তি ঘুচিয়ে দিয়েছে এই জয়, যা সমর্থকদের জন্য এনেছে পরিপূর্ণ আনন্দ আর উৎসবের সুযোগ।
আনফিল্ড স্টেডিয়ামের নিয়মিত ধারাভাষ্যকার জর্জ সেপটন, যিনি ১৯৭০ এর দশক থেকে এই ক্লাবের সঙ্গে জড়িত, তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, “আগে যখন দল জিততো, তখন যেন উৎসবের জোয়ার বইতো।” কিন্তু ২০২০ সালের সেই জয়টা ছিল অন্যরকম, যেখানে সবাই একসঙ্গে আনন্দ করতে পারেনি।
সেপটন আরও যোগ করেন, “দীর্ঘদিন পর আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এবারের অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ।”
লিভারপুলের সমর্থক এবং ‘দ্য অ্যানফিল্ড র্যাপ’-এর হোস্ট নেইল অ্যাটকিনসন মনে করেন, “২০২০ সালের সেই জয়ে যেন একটা শূন্যতা ছিল।” সবাই চেয়েছিল, একসঙ্গে উদযাপন করবে, কিন্তু সেটা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি, লিভারপুল আগামী ১০টি লিগ জিতুক, কিন্তু সেই উদযাপনটা যেন এবারের মতোই স্মরণীয় হয়।”
‘দ্য রেডমেন টিভি’-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস পাজাকও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, “কোভিডের কারণে আমরা সবাই একসঙ্গে উদযাপন করতে পারিনি।
তবে এবার, খেলোয়াড়দের সঙ্গে সমর্থকদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ এসেছে, যা সত্যিই দারুণ।
এই জয়ের পেছনে খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি বর্তমান ম্যানেজার আর্নে স্লটের কৌশলও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্লটের অধীনে দলটি আরও শক্তিশালী হয়েছে।
সেপটন মনে করেন, “আর্নে স্লট আসার পর দলের খেলায় পরিবর্তন এসেছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
মোহাম্মদ সালাহ এবং ভার্জিল ভ্যান ডাইকের মতো তারকারা আবারও তাদের সেরাটা দিয়েছেন, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সমর্থকদের প্রত্যাশা, আগামী দিনগুলোতেও এই দল তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখবে এবং আরও অনেক জয় এনে দেবে।
এবারের জয় শুধু একটি শিরোপা নয়, বরং সমর্থকদের জন্য আনন্দ আর ভালোবাসার উদযাপন।
এটি তাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান, যা তারা একসঙ্গে উদযাপন করতে পারবে।
সবার মনে এখন একটাই সুর – “জয় হোক লিভারপুলের, আর এই আনন্দ চলুক অবিরাম।”
তথ্য সূত্র: CNN