মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে শুল্ক, উদ্বেগে অভিভাবকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতিতে পরিবর্তন আসায় শিশুদের ব্যবহারের বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে, যা নতুন বাবা-মায়েদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এর ফলে শিশুদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্ট্রলার ও কার সিটের মতো জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।

জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন।

এর ফলস্বরূপ, শিশুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে, যা নতুন বাবা-মায়েদের জন্য আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমানে স্ট্রলারের দাম গড়ে ২৫ শতাংশ এবং কার সিটের দাম প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ব্যবহৃত বেশিরভাগ পণ্য, বিশেষ করে স্ট্রলার ও কার সিট, চীন থেকে আমদানি করা হয়।

ফলে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায়, তা সরাসরি ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। অনেক বাবা-মা এখন দাম আরও বাড়ার আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ফেলছেন, কারণ তারা আশঙ্কা করছেন ভবিষ্যতে জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে অনেক পরিবার তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে নগদ অর্থ বা গিফট কার্ডের প্রত্যাশা করছে। এছাড়াও, অনেকে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পরিকল্পনা করছেন।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অধ্যাপক জেসন মিলার জানিয়েছেন, শিশুদের নিরাপত্তা সামগ্রীর প্রায় ৯৯ শতাংশ এবং স্ট্রলারের ৯৩ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়।

খেলনার বাজারেও চীনের প্রভাব অনেক বেশি, যেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ খেলনা চীন থেকে আসে।

এই পরিস্থিতি নতুন বাবা-মায়েদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই শিশুদের প্রাথমিক বছরগুলোতে দেখাশোনার খরচ বেশ বেশি।

এই অবস্থায় শুল্ক বৃদ্ধির কারণে খরচ আরও বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের বাণিজ্য নীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, কারণ আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উদাহরণস্বরূপ, পোশাক বা ইলেকট্রনিক্সের মতো পণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন