অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে দ্রুত বাড়ছে বন্য উটের সংখ্যা, যা সেখানকার পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এক সময়ের পরিব্রাজক উটগুলো এখন সেখানকার অর্থনীতির জন্য এক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই প্রাণীগুলোকে আনা হয়েছিল দেশটির অভ্যন্তরভাগ অনুসন্ধানের জন্য। কিন্তু আধুনিক পরিবহনের প্রসারের ফলে উটগুলোর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়।
একসময় মানুষের কাজে লাগানো এই প্রাণীগুলো এখন বন্য পরিবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ধ্বংসের কারণ হচ্ছে।
উটগুলো মূলত বিশাল চারণভূমি এবং জলের উৎসের ক্ষতি করে থাকে। তারা গাছপালা খেয়ে ফেলে, জলের উৎস দূষিত করে এবং অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে।
এর ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়, কৃষক এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার এবং খামারিরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তাদের মধ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ হলো উট নিধন করা। এই পদ্ধতিতে প্রতি বছর বহু উটকে গুলি করে মারা হয়, যা অনেক সময় বিতর্কিত হয়ে ওঠে।
উট নিয়ন্ত্রণের জন্য কেবল নিধনই একমাত্র সমাধান নয়। উট থেকে দুধ উৎপাদন, উটের মাংস বিক্রি এবং উট দৌড়ের মতো বিকল্প উপায়গুলোও বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে, এইসব বিকল্পের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, দুগ্ধ খামারের জন্য উপযুক্ত জাতের উটের অভাব এবং মাংস প্রক্রিয়াকরণের উচ্চ খরচ ইত্যাদি।
অস্ট্রেলিয়ার এই বন্য উটের সমস্যা সমাধানে সরকার এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে হলে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এই ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।