প্রিন্স হ্যারির নেতৃত্বে, তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। আগামী ৬ই মে, যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন ডিউক অফ সাসেক্স।
প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করা এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তনের বীজ বপন করা।
অনুষ্ঠানটি মূলত ‘নলেজ ২০২৫’ কনফারেন্সের অংশ, যা একটি ব্যবসায়িক রূপান্তর বিষয়ক এআই প্ল্যাটফর্ম ‘সার্ভিসনাও’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে।
এই কনফারেন্সে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ‘প্রতিশ্রুতি বিনিয়োগ’ (Pledge to Invest) নামক একটি নতুন উদ্যোগের সূচনা করা হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব প্রদানকারীদের সম্মানিত করা হবে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের মিশনগুলোতে সমর্থন যোগানোর জন্য উৎসাহিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. টেসি ওজো, সার্ভিসনাও-এর গ্লোবাল কাস্টমার অপারেশনস-এর প্রেসিডেন্ট পল ফিপস, এবং সংস্থার ‘লেগ্যাসি অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী দুই তরুণ প্রতিনিধি: সিকান্দার ‘সনি’ খান এবং ক্রিস্টিনা উইলিয়ামস।
সিকান্দার খান বর্তমানে মাইক্রোসফটে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে কাজ করছেন।
এছাড়াও তিনি ‘পানী প্রজেক্ট’-এর প্রধান হিসেবে পাকিস্তানে বিভিন্ন মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে কুড়ি হাজারের বেশি কুয়ো নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছেন।
ক্রিস্টিনা উইলিয়ামস একজন আইনজীবী এবং জামাইকার যুবকদের ক্ষমতায়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে কাজ করেন।
আলোচনা সভায় যুব নেতৃত্ব এবং কর্মক্ষেত্রে তরুণদের উন্নতিতে কিভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহায়তা করতে পারে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আজকের যুব নেতৃত্বকে যারা সমর্থন করবে, তারাই আগামী দিনের কর্মী, উদ্ভাবক এবং ভোক্তা তৈরি করবে।” এই অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর ভাই প্রিন্স উইলিয়াম, উভয়েই ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানান।
প্রিন্সেস ডায়ানার স্মৃতি বিজড়িত এই সংস্থাটি তাঁদের জনহিতকর কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যুবকদের সম্ভাবনা বিকাশে সহায়তা করা, তাদের অনুপ্রাণিত করা এবং সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে তরুণ সমাজকে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত করাই তাদের লক্ষ্য।
গত সপ্তাহে প্রিন্স হ্যারি তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে নিউইয়র্ক সিটি সফরকালে ‘রেসপনসিবল টেকনোলজি ইয়ুথ পাওয়ার ফান্ড’ (RTYPF) কনভেনিংয়ে তরুণ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সেখানে তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সকলেরই উচিত মুনাফার চেয়ে নিরাপত্তার দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া।
তথ্য সূত্র: পিপলস