মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সালভাদরের নাগরিক কিলমার আর্মেন্ডো অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মন্তব্য। গত মাসে ভুলবশত তাকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হলেও, ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি চাইলে গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে পারেন, কিন্তু তিনি তা করবেন না।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন আদালত ২০১৯ সালে গার্সিয়াকে নিজ দেশে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, সেখানে তার জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায় গার্সিয়ার পরিবারের একটি ব্যবসা ছিল, যে কারণে সেখানকার একটি গ্যাং তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল।
এরপরেও, গত ১২ই মার্চ তাকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অভিযোগে আটক করে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়।
এরপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করে আসছিল, এল সালভাদরের সরকারের হাতে বন্দী থাকায় গার্সিয়াকে তারা ফেরত আনতে পারে না। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি চাইলে গার্সিয়াকে ফেরাতে পারেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি চাইলে তাকে ফেরাতে পারি, কিন্তু আমি তা করব না।
তিনি এর কারণ হিসেবে গার্সিয়াকে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেন।
গার্সিয়ার হাতে থাকা কিছু ট্যাটুর দিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, এগুলো গ্যাং সংস্কৃতির পরিচায়ক। তবে, এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এমনকি, একজন বিচারকও ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সদিচ্ছার অভাব’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে জানিয়েছেন, তিনি তার দেশে আটক ‘সন্ত্রাসীদের’ মুক্তি দিতে আগ্রহী নন। ফলে, গার্সিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন