একাকী ভ্রমণের প্রবণতা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে, এবং ভ্রমণকারীরা নতুন গন্তব্যের সন্ধানে মুখিয়ে আছেন। একা ভ্রমণের ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
সম্প্রতি, একটি গবেষণা অনুসারে, আমেরিকার প্রায় ৪৩ শতাংশ ভ্রমণকারীর একাকী ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। এছাড়াও, ভার্চুসো-এর একটি সমীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে, যারা একাকী ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে ৭১ শতাংশই নারী।
এই প্রেক্ষাপটে, “ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার” -এর একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, বর্তমানে একাকী ভ্রমণের জন্য সেরা কিছু গন্তব্য হলো এশিয়ার বিভিন্ন শহর।
জনপ্রিয় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, “রেডিট”-এর r/solotravel/ কমিউনিটিতে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের শহরগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে, কিছু শহর বিশেষভাবে উঠে এসেছে, যেখানে একাকী ভ্রমণকারীরা দারুণ অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী, সিউল, এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ব্যবহারকারীরা শহরটিকে প্রযুক্তি, ডিজাইন, এবং ফ্যাশনের কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাদের মতে, সিউল ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার এক চমৎকার মিশ্রণ।
এখানকার গতিশীল জীবনযাত্রা এবং উদ্ভাবনী সংস্কৃতি একাকী ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে।
একইভাবে, ভিয়েতনামের শহর, হো চি মিন সিটির কথাও অনেকে উল্লেখ করেছেন। এই শহরটি নতুন রেস্তোরাঁ, ককটেল বার, এবং রাতের জীবনের জন্য পরিচিত।
যারা নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।
থাইল্যান্ডও একাকী ভ্রমণকারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে, ব্যাংকক-এর নাম উল্লেখযোগ্য।
এখানে অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম, যা ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা দেয়। এছাড়াও, ব্যাংকক-এ বিলাসবহুল জীবনযাত্রার খরচ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের তুলনায় অনেক কম।
এখানকার স্থানীয় মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ, বিভিন্ন ধরনের খাবার, সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং পাহাড় একাকী ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে।
সুতরাং, যারা একা ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তারা সিউল, হো চি মিন সিটি, এবং ব্যাংককের মতো শহরগুলো বিবেচনা করতে পারেন। এই শহরগুলোতে বিভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা লাভের পাশাপাশি, নিরাপত্তা এবং আরামের সুযোগও রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার