যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার বয়ে যাওয়া এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ‘ডেরেকো’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল)।
ঝড়ের কারণে গাছপালা উপড়ে গেছে, ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। খবর অনুযায়ী, ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) জুড়ে এই ঝড়ের প্রভাব ছিল। ইন্ডিয়ানা থেকে শুরু করে পেনসিলভানিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা এর শিকার হয়েছে।
টেক্সাস, ওকলাহোমা এবং আরকানসাসের কিছু অংশেও ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে, পিটসবার্গ শহরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।
এখানে ঝড়ের সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেলে একজন নিহত হন। এছাড়া, অ্যালেনি কাউন্টিতে ঝড়ের কারণে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওকলাহোমা রাজ্যের রাজধানী ওকলাহোমা সিটিতে বন্যা দেখা দেওয়ায় আই-৩৫ ও আই-৪৪ সড়কের সংযোগস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এছাড়া, টেক্সাসের ডালাস-ফোর্ট ওর্থ মেট্রোপ্লেক্সেও বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত ঘূর্ণিঝড় এবং কালবৈশাখীর কথা মনে করিয়ে দেয়। যেমন, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, তেমনি এই ডেরেকো ঝড়েও একই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তাই, এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবারও এই অঞ্চলে আরও তীব্র ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার এবং জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন