কারেন রিডের মামলার পুনর্বিচার: গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনার গভীরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যানটনে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সংঘটিত একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার পুনর্বিচার চলছে। এই মামলার প্রধান সাক্ষী জেনিফার ম্যাককেবের দ্বিতীয় দিনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
এই মামলায় অভিযুক্ত কারেন রিডের বিরুদ্ধে তার প্রেমিক, বোস্টন পুলিশ অফিসার জন ও’কীফকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতে দেওয়া জেনিফার ম্যাককেবের সাক্ষ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৮শে জানুয়ারী, ২০২২, বন্ধুদের সাথে একটি বারে সময় কাটিয়েছিলেন তারা। এরপর তারা ম্যাককেবের বোনের বাড়িতে একটি পার্টিতে যোগ দেন।
গভীর রাতে তুষারপাতের মধ্যে ও’কীফের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রসিকিউশন পক্ষের মতে, ঘটনার দিন সকালে কারেন রিডের “উত্তেজিত” আচরণ ছিল।
তবে, কারেন রিডের আইনজীবীরা দাবি করছেন, ও’কীফকে অন্য কেউ হত্যা করেছে এবং কারেনকে ফাঁসানো হয়েছে।
আদালতে ম্যাককেব জানান, ঘটনার দিন রাতে তিনি রিডের গাড়িটি তার বোনের বাড়ির বাইরে পার্ক করা অবস্থায় দেখেছিলেন। তিনি ও’কীফকে টেক্সট মেসেজ করলেও তার কোনো উত্তর পাননি।
পরে যখন ও’কীফের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন রিড বেশ কয়েকবার ম্যাককেবের কাছে জানতে চান, “আমি কি তাকে আঘাত করেছি? আমি কি তাকে মেরে ফেলেছি?”
ম্যাককেবের সাক্ষ্যে উঠে আসে ঘটনার আগের রাতের বিভিন্ন দিক। বন্ধুদের সাথে ‘দ্য ওয়াটারফল বার অ্যান্ড গ্রিল’-এ কাটানো সময়, এরপর মধ্যরাতে তার বোনের বাড়িতে নেমন্তন্ন—সবকিছুই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন তিনি।
ও’কীফ যে রাতে মারা যান, সেই রাতে তিনি এবং রিড প্রায় ১১টার দিকে বারে পৌঁছান। ম্যাককেব জানান, ও’কীফ তার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন।
ও’কীফের মৃত্যুর পর, তার পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। কারণ, ও’কীফ তার ভাই-বোনের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করতেন।
ঘটনার পরদিন সকালে, ও’কীফের কোনো খোঁজ না পেয়ে ম্যাককেবের কাছে যান রিড। এরপর তারা দুজনে মিলে ও’কীফের বাড়িতে যান।
সেখানে ও’কীফকে না পেয়ে তারা অন্য এক নারীর গাড়িতে করে ও’কীফকে খুঁজতে বের হন। পথে রিড “চিৎকার” করছিলেন।
এরপর তারা যখন ও’কীফের বোনের বাড়ির কাছে পৌঁছান, তখন তুষারের মধ্যে ও’কীফের মৃতদেহ দেখতে পান। ম্যাককেব জানান, তিনি সঙ্গে সঙ্গে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন।
এই মামলায় কারেন রিডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যা, মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম বিচারের রায় অসম্পূর্ণ ছিল।
তথ্যসূত্র: সিএনএন