কানাডার একটি ছোট্ট দ্বীপ, যেখানে রন্ধনশিল্পের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড (PEI), যা আকারে কানাডার সবচেয়ে ছোট প্রদেশ, খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এখন এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।
এখানকার স্থানীয় উপাদান আর উদ্ভাবনী রন্ধনশৈলী একে দিয়েছে বিশেষ পরিচিতি।
প্রথাগত ধারার বাইরে গিয়ে, PEI-এর খাদ্যশিল্পে নতুনত্বের ছোঁয়া এনেছেন একদল শেফ ও খাদ্য প্রস্তুতকারক। এখানকার মূল আকর্ষণ হল ‘ফার্ম-টু-টেবিল’ ধারণা।
অর্থাৎ, ক্ষেত থেকে সরাসরি টেবিলে খাবার পরিবেশন করা হয়। এখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তাজা উপাদান ব্যবহার করা হয়।
এই দ্বীপে উৎপন্ন লবস্টার, ঝিনুক, আলু এবং দুগ্ধজাত পণ্যের রয়েছে বিশেষ কদর। এছাড়াও, বুনো গাছপালা ও ফলমূল সংগ্রহ করে সেগুলোকে খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করার চলও বাড়ছে।
প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডে “ফার্ম-টু-টেবিল” ধারণার পথিকৃৎ বলা হয় মাইকেল স্মিথকে। তিনি এখানকার একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করেন, যেখানে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে খাবার পরিবেশন করা হয়।
তাঁর হাত ধরেই এই দ্বীপে রন্ধনশিল্পের নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে, এই অঞ্চলের অনেক শেফ এবং খাদ্য প্রস্তুতকারক এই ধারণাকে অনুসরণ করছেন।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য উপাদানের মধ্যে আলু অন্যতম। এখানকার আলু কানাডার বাজারে খুব জনপ্রিয়।
এছাড়া, আপেল থেকেও তৈরি হয় নানা ধরনের খাদ্য ও পানীয়। আপেল থেকে তৈরি সাইডার এখানকার একটি বিশেষত্ব।
এই দ্বীপের ক্ষুদ্র আকার এর খাদ্যশিল্পকে আরও শক্তিশালী করেছে। এখানকার মানুষজন একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে, যা তাদের খাদ্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
স্থানীয় বাজারের বিস্তার এবং নতুন রেস্তোরাঁগুলোর আগমন, PEI-কে খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ গন্তব্য করে তুলেছে।
বর্তমানে, PEI-এর খাদ্যশিল্প শুধু কানাডাতেই নয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে।
এখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে একদিকে যেমন পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে খাবার পরিবেশন করা হয়, তেমনই খাদ্য প্রস্তুতকারকদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা এই দ্বীপকে দিয়েছে এক নতুন পরিচিতি।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।