1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 1, 2025 4:52 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
প্রশাসন মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্র আসার আহবান  কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধ্বসে দু’টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত  কাপ্তাই মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি উপজেলা কমিটির প্রশিক্ষণ  অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় হৃৎপিণ্ড বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ—ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদার কাউখালীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরণ অনুষ্ঠিত কাপ্তাইয়ের কেপিএম এ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন   ছাতকে মাদক দ্রব্য বিক্রেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা সাংবাদিক সহ আহত ৫ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম ওয়াই সি এল পরিবহণ উদ্বোধন বিখ্যাত গায়িকার কনসার্টে নাচতে গিয়ে বিপাকে, হারালেন চুল! বোনের স্বামীর পছন্দের পোশাক নিয়ে মন্তব্যের জেরে ‘পিক-মি’ তকমা! সন্তান জন্ম: স্যাম অল্টম্যানের জীবনে এলো ‘বিস্ময়কর পরিবর্তন’!

টেক্সাসের অভিবাসীদের জীবনে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রভাব: ছবি কথা বলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, May 1, 2025,

টেক্সাসের প্রান্তরে অভিবাসন সঙ্কট: ট্রাম্পের নীতির জেরে অনিশ্চয়তায় হাজারো মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে ‘প্যানহ্যান্ডেল’ অঞ্চল। এখানকার শান্ত শহরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসী শ্রমিকেরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

মূলত, এই অঞ্চলের মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলোতে কাজ করা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

ক্যাভেন্সন জ্যাঁ একজন হাইতিয়ান অভিবাসী। তিনি পেশায় একজন ট্রাক চালক। টেক্সাসের ‘প্যানহ্যান্ডেল’ শহরে স্ত্রী শেরলি জ্যাঁকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সম্প্রতি, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতির কারণে তাঁদের জীবনযাত্রা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। তাঁদের মতো আরো অনেকে এখন জানেন না, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী?

ক্যাভেন্সন জ্যাঁ জানান, “আমরা তো কোনো অপরাধ করিনি। আমরা আমেরিকার মানুষের কাজ কেড়ে নিচ্ছি না। আমরা শুধু একটি ভালো জীবনের আশায় এখানে এসেছি।”

আগে, এই অঞ্চলে অভিবাসীদের কাজের সুযোগ ছিল অনেক। বিশেষ করে, এখানকার বিশাল মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলোতে তাঁদের চাহিদা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কড়াকড়ি নীতির কারণে, এই সুযোগগুলো এখন সীমিত হয়ে এসেছে। অনেক অভিবাসীর ভিসা বাতিল করা হচ্ছে, তাঁদের বিতাড়িত করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর (Department of Homeland Security) থেকে পাঠানো এক ইমেইলে অভিবাসীদের দ্রুত দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রে থাকার চেষ্টা করবেন না। ফেডারেল সরকার আপনাকে খুঁজে বের করবে।”

হাইতির মতো বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০ লক্ষ অভিবাসী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাঁদের অনেকেই কাজের অনুমতি পেয়েছেন এবং নিয়মিত করও পরিশোধ করেন। কিন্তু নতুন নীতির কারণে তাঁদের সবার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই অভিবাসন নীতিকে সমর্থন করে ক্যাভেন্সন জ্যাঁ বলেন, “আমি মনে করি, সরকার আমেরিকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে চাইছে। তবে, সব অভিবাসী তো আর সন্ত্রাসী বা অপরাধী নয়। আমরা শুধু একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখি।”

টেক্সাসের ‘প্যানহ্যান্ডেল’ অঞ্চলের একটি শহর হলো ‘ক্যাকটাস’। এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষের বসবাস। এখানে একটি সোনার গম্বুজওয়ালা মসজিদ রয়েছে, যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সহাবস্থানের প্রতীক।

এই অঞ্চলের প্রধান শিল্প হলো মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। এখানকার ‘জেবিএস’ (JBS) নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এই শিল্পের শ্রমিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসী। অভিবাসী শ্রমিকদের অভাবে এই শিল্পে সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

লেসভিয়া মেনডোজা নামে ভেনেজুয়েলার এক নারী জানান, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তিনি কোনো সরকারি সাহায্যও নেননি। তিনি বলেন, “আমি বুঝি না, কেন আমাদের মতো মানুষের ওপর এই নীতির প্রভাব পড়ছে। আমার মনে হয়, এই দেশের উৎপাদন ও উন্নয়নের জন্য অভিবাসীদের প্রয়োজন রয়েছে।”

এদিকে, হাইতির বাসিন্দা ইদানো মিন্টর নামক এক ব্যক্তি জানান, তিনি এখানকার একটি মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে কাজ করেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ২৪০০ ডলার আয় করেন। তাঁর পরিবারের জন্য তিনি নিয়মিত দেশে টাকা পাঠান। তিনি জানান, তিনি এখানকার নিয়মকানুন মেনেই চলেন। তিনি বলেন, “আমি কোনো সমস্যা করতে চাই না। আমি শুধু আমার কাজ করতে চাই।”

এই অনিশ্চয়তা শুধু এই অঞ্চলের মানুষের জীবনকেই প্রভাবিত করছে না, বরং এখানকার অর্থনীতিতেও এর গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেক অভিবাসী শ্রমিক তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে।

ক্যাভেন্সন জ্যাঁয়ের মতো অনেকেই তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তাঁরা জানেন না, এই অনিশ্চয়তা কত দিন চলবে। তাঁদের একটাই চাওয়া, তাঁরা যেন তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন এবং একটি সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT