নব দম্পতির উপহার বিতর্কের জলঘোলা: স্বামীর কি বোনের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত?
নতুন সংসার, নতুন জীবন – এমন সময়ে উপহার পাওয়াটা আনন্দের। কিন্তু উপহার যদি হয় অপছন্দের, তখন?
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। গল্পের শুরুটা এমন: সদ্য বিবাহিত একটি দম্পতি, এলোডি ও ম্যাক্স, তাদের নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশের পরে এলেন তাদের এক আত্মীয়।
এ সময় এলেনের বোন রুবি তাদের একটি বিশাল আকারের, অদ্ভুত সবুজ রঙের সিরামিকের বাটি উপহার দেন। বাটিটি তাদের রুচির সঙ্গে না মেলায় ম্যাক্স সেটি ফেরত দেন, কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখেন।
বিষয়টি এখানেই শেষ হতে পারতো, কিন্তু গোল বাধে যখন এ বিষয়ে এলোডির বোন রুবি জানতে চান। তখন এলোডি বোনকে জানান, বাটিটি ভেঙে গেছে।
এরপরই তৈরি হয় জটিলতা। একদিকে, ম্যাক্সের মতে, তাদের পছন্দের সঙ্গে না মেলায় উপহারটি ফেরত দেওয়াটাই সঠিক ছিল।
তাদের ঘরটি তারা নিজেদের রুচি অনুযায়ী সাজাতে চান এবং সেখানে এই বাটির কোনো স্থান নেই। অন্যদিকে, এলোডির দ্বিধা, উপহার ফেরত দেওয়াটা রুবিকে আঘাত করতে পারে।
এলোডির মতে, আত্মীয়দের দেওয়া উপহার, বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের দেওয়া উপহার ফেরত দেওয়াটা ভালো দেখায় না। রুবি ভালোবেসে তাদের জন্য বাটিটি নির্বাচন করেছিলেন এবং এর একটি আবেগিক মূল্য রয়েছে।
তাদের ঘরটি হয়তো নিখুঁতভাবে সাজানো নয়, তবে কিছু ব্যতিক্রমী জিনিস ঘরটিকে বসবাসযোগ্য করে তোলে। উপহার ফেরত দেওয়া যেন সেই ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানানো হলো না।
বিষয়টি নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে, তখন অনেকেই তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। কারো মতে, ম্যাক্সের অবশ্যই এ নিয়ে মুখ খোলা উচিত ছিল।
আবার কারো মতে, এখন আর সত্যি বলার কোনো মানে নেই। কারণ এতে রুবির মন খারাপ হতে পারে।
উপহারের এই বিতর্কটি আমাদের সমাজে খুবই পরিচিত একটি বিষয়। উপহার দেওয়া এবং নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই রুচি ও পছন্দের ভিন্নতা দেখা যায়।
এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের অনুভূতিকে সম্মান জানানো জরুরি। উপহারটি যদি সত্যিই কারো ভালো না লাগে, তবে সেটি সরাসরি ফেরত না দিয়ে অন্য কোনো উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অথবা, উপহারদাতার কাছে বিষয়টি জানানো যেতে পারে – তবে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে, যাতে উভয় পক্ষের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, উপহারের ক্ষেত্রে আন্তরিকতা এবং অন্যের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানোটা খুব জরুরি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান