বিয়ে একটি আনন্দময় অনুষ্ঠান, যা জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। এই অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বিয়ের খরচ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সাশ্রয়ী উপায়ে বিয়ের আয়োজন করা যায়, সেই সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো:
বাজেট তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। বিয়ের খরচ কমাতে স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা করা বুদ্ধিমানের কাজ।
এতে পরিবহন খরচ কমে এবং শুল্কের প্রভাব থেকে বাঁচা যায়। যেমন, পোশাক, ফুলের মালা, এবং অন্যান্য সজ্জা সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে স্থানীয় দোকান বা প্রস্তুতকারকদের অগ্রাধিকার দিন।
যারা শুল্কের বোঝা ক্রেতাদের উপর চাপাতে রাজি নয়, তাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কেনা যেতে পারে।
ভেন্ডর নির্বাচন করার সময় তাদের অতীত অভিজ্ঞতা এবং বাজারের চাহিদার বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। অনলাইনে কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে পর্যালোচনা করুন, বিশেষ করে কাপড়ের মান, মোমবাতি বা অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে।
যদি আপনি ভাড়ার সামগ্রী ব্যবহার করতে চান, তবে বর্তমান ভাণ্ডার থেকে জিনিস নির্বাচন করা ভালো। বিয়ের এক বছর আগে দামের স্থিতিশীলতা নাও থাকতে পারে, তাই ভেন্ডরের বিদ্যমান জিনিসপত্রের মধ্যে থেকে পছন্দ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
চুক্তি করার সময় সতর্ক থাকুন। ভেন্ডরের সাথে এমন চুক্তি করুন যেখানে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে, অন্য কোনো বিকল্প ব্যবহারের সুযোগ থাকে।
যেমন, বিদেশি মদের বদলে দেশীয় কোনো ভালো পানীয় ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিয়ে যদি দেশের বাইরে করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে জিনিসপত্র পাঠানোর পরিবর্তে সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শুল্ক এবং অতিরিক্ত খরচ বাঁচানো সম্ভব হবে।
ফুলের দাম প্রায়ই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে যে ফুলের দোকানগুলোতে আগে থেকেই দাম বেশি, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কারণ, তাদের পণ্যের দামে শুল্কের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।
সবশেষে, বিয়ের পরিকল্পনা করার সময় ধৈর্য্য ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। খরচ কমানোর জন্য স্থানীয় বাজার এবং বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করে, একটি সুন্দর ও সাশ্রয়ী বিবাহ অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস