টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে ইলন মাস্ককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিচালনা পর্ষদ প্রধান অনুসন্ধানকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল—এমন একটি খবর অস্বীকার করেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের (ডব্লিউএসজে) একটি প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বোর্ডের কিছু সদস্য মাস্কের রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং কোম্পানির মুনাফা হ্রাসের কারণে তাঁর উত্তরসূরি খুঁজতে আলোচনা শুরু করেছিলেন।
তবে, এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে টেসলা কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের চেয়ারপারসন রবিন ডেনহোলম এক বিবৃতিতে জানান, “টেসলার সিইও পদে ইলন মাস্ক বহাল আছেন এবং ভবিষ্যতে কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে বোর্ডের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে টেসলার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষ করে, জার্মানির নির্বাচনে চরম ডানপন্থী দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোয় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে টেসলার মুনাফা ৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০৯ মিলিয়ন ডলারে।
যেখানে গত বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ১.৩৯ বিলিয়ন ডলার। শেয়ার বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে, যার ফলস্বরূপ টেসলার বাজারমূল্য এক চতুর্থাংশ কমে গেছে।
ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, মে মাস থেকে তিনি টেসলার জন্য আরও বেশি সময় দেবেন।
এছাড়াও, তিনি সরকারি দায়িত্ব থেকে ৩০শে মের মধ্যে অব্যাহতি নিচ্ছেন।
বর্তমানে মাস্ক টেসলা ছাড়াও স্পেসএক্স এবং সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এর (সাবেক টুইটার) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা করে ইলন মাস্ক সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, “ডব্লিউএসজে-র মতো একটি সংবাদমাধ্যমের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তারা মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছে এবং টেসলার বোর্ড অব ডিরেক্টরসের কাছ থেকে কোনো প্রকার নিশ্চিতকরণ ছাড়াই এমনটা করেছে।”
বর্তমানে টেসলার প্রধান নির্বাহী পদ নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছে, তা দ্রুত মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, কোম্পানির আর্থিক পরিস্থিতি এবং ইলন মাস্কের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান