শিরোনাম: ফ্যাশন দুনিয়ায় ‘পাওয়ার ড্রেসিং’-এর প্রত্যাবর্তন, তারুণ্যের ফ্যাশনে নতুন হাওয়া
আন্তর্জাতিক ফ্যাশন দুনিয়ায় আবারও ফিরে আসছে ‘পাওয়ার ড্রেসিং’-এর যুগ। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক সময়ের প্রভাবশালী এই পোশাকের ধরনে তারুণ্যের ফ্যাশনে নতুনত্ব যোগ হয়েছে।
বড় কাঁধের ব্লেজার, সুবিন্যস্ত কাটিং এবং আকর্ষণীয় সাজসজ্জা – এই ধরনের পোশাক এখন ফ্যাশন সচেতনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত হওয়া বিভিন্ন ফ্যাশন শো’তে এই স্টাইল বেশ নজর কেড়েছে।
আলোচিত এই ধারার পোশাকে সেজে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মাইলি সাইরাস। সেন্ট লরেন্ট-এর ডিজাইন করা একটি পোশাকে দেখা যায় তাকে।
উজ্জ্বল রঙের লেদার জ্যাকেট এবং পেন্সিল স্কার্টের সঙ্গে তার এই সাজ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ফ্যাশন সমালোচকরা বলছেন, ১৯৮০ দশকের প্রভাবশালী ফ্যাশন ধারাকে যেন নতুন করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শুধু মাইলি সাইরাসই নন, এই তালিকায় রয়েছেন মডেল ক্যান্ডেল জেনারও। তিনি সাদা টপস এবং ঢিলেঢালা প্যান্টের সঙ্গে একটি আকর্ষণীয় ব্যাগ নিয়ে ক্যামেরার সামনে আসেন।
এছাড়াও অভিনেত্রী ডেইজি এডগার-জোন্সকে সম্প্রতি একটি ফিল্মের প্রচারণায় এই ধরনের পোশাকে দেখা গেছে। ক্যালভিন ক্লেইন এবং শুষু/টং-এর ডিজাইন করা পোশাকে তার সাজ ছিল খুবই আকর্ষণীয়।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের পোশাক আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তার প্রতীক। কর্মক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবেও এটিকে দেখা হয়।
পোশাকের এই ধারা নারীদের ব্যক্তিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
বর্তমান সময়ে, পোশাকের এই ধরন শুধু ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবেই নয়, বরং নারীদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের উপস্থাপন করার একটি দারুণ উপায়। বাংলাদেশের ফ্যাশন সচেতন তরুণীরাও এখন এই ধরনের পোশাকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন