জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা, ফেডারেল নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী, চরম ডানপন্থী দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন সংস্থাটি দলটির উপর নজরদারি আরও জোরদার করতে পারবে। খবর অনুযায়ী, এএফডি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা জাতিগত পরিচিতির ভিত্তিতে জার্মান নাগরিকত্বের ধারণা প্রচার করে এবং এর মাধ্যমে অভিবাসী, বিশেষ করে মুসলিম দেশ থেকে আসা লোকজনকে সমাজের বাইরে রাখতে চায়।
গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এএফডি’র এই দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের কিছু গোষ্ঠীকে “বৈষম্য ও নিন্দার” দিকে ঠেলে দেয় এবং তাদের মধ্যে “ভয় ও বিদ্বেষ” সৃষ্টি করে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে দলটির সদস্য সংগ্রহে সমস্যা হতে পারে এবং সরকারি চাকরিতে তাদের কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আসতে পারে।
জার্মানিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এএফডি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন লাভ করে। যদিও তারা সরাসরি সরকার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে না, তবে বিশ্লেষকদের মতে, সংসদে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশ প্রভাব ফেলবে।
এই পরিস্থিতিতে, কিভাবে এএফডি’র উত্থান মোকাবেলা করা যায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গোয়েন্দা সংস্থার এই পদক্ষেপ এএফডি’র প্রতি সহানুভূতি বাড়াতে পারে এবং তাদের এই ধারণা আরও দৃঢ় হতে পারে যে, তাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।
কারণ, ইতোমধ্যে দলটি বিভিন্ন জনমত জরিপে ভালো ফল করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এএফডি’র যুব শাখা সহ দলের কিছু অংশকে চরমপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এমনকি ২০২১ সালে পুরো দলটিকেও সন্দেহভাজন চরমপন্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন