মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার – প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কেমন ছিল, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের এই অস্থিরতা বাণিজ্য নীতি সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ফল। এই প্রেক্ষাপটে, অন্যান্য দেশের জন্য এর থেকে শিক্ষা নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের S&P 500 সূচক, যা বাজারের মূল নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়, ট্রাম্পের [সম্ভাব্য] দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে বেশ খারাপ ফল করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অন্য কোনো প্রেসিডেন্টের আমলে এমনটা দেখা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সময়ে বাজারের গতিবিধি অন্যান্য অনেক দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
সাধারণত, কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম ১০০ দিনের বাজারের পারফরম্যান্স পুরো বছরের জন্য একটি ধারণা দিতে পারে। CFRA Research-এর প্রধান বিনিয়োগ কৌশলবিদ স্যাম স্টোভাল বলেন, “ইতিহাস আমাদের পথ দেখায়, তবে এটি চূড়ান্ত কিছু নয়।” তিনি আরও যোগ করেন, সাধারণত, কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম ১০০ দিনে S&P 500-এর ভালো ফল হলে, সেই বছর বাজার প্রায় ২১.১% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে, খারাপ ফল হলে ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৫.৫%।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিনিয়োগকারীরা এখন ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে বাজারের ওপর কী প্রভাব পড়ে, সেদিকে নজর রাখবেন। আমদানি শুল্ক বা ‘ট্যারিফ’-এর কারণে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। যদিও অনেকে ভেবেছিলেন, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কেবল কথার কথা, বাস্তবে তেমনটা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বাজারের উত্থান-পতন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির যেকোনো পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলে। যদিও বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি ভিন্ন, তবে বিশ্ব অর্থনীতির এই গতিবিধি আমাদের বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দেশের অর্থনীতিকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তা এখান থেকে বোঝা যায়।
২০২৪ সাল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬২% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়তো সরাসরি শেয়ার বাজারে, অথবা তাদের বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের অবসরকালীন সঞ্চয় হিসেবে এই বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেন।
তথ্য সূত্র: CNN