ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে নারী ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নারী ও মেয়েদের ক্রিকেটে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা অংশ নিতে পারবে না।
শুক্রবার বোর্ডের এক সভায় এই নীতি পরিবর্তনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
আগে, ট্রান্স নারী খেলোয়াড়দের সীমিত পরিসরে খেলার সুযোগ ছিল, বিশেষ করে তৃতীয় স্তরের ঘরোয়া ক্রিকেট এবং বিনোদনমূলক ক্রিকেটে তারা খেলতে পারতেন। কিন্তু এখন, UK-র সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক রায়কে কেন্দ্র করে ECB তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে।
এই রায়ে, ২০১৩ সালের ‘ইক্যুয়ালিটি অ্যাক্ট’-এর কিছু ধারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই আইনের ১৯৫ নম্বর ধারা, যা লিঙ্গ-প্রভাবিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করে, সেই বিষয়ে নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের মতে, এই ধারার মূল ভিত্তি হলো ‘জৈবিক লিঙ্গ’ (biological sex)।
ECB তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা মনে করি, আজকের এই পরিবর্তনগুলি জরুরি। আমরা স্বীকার করি যে এই সিদ্ধান্তের কারণে ট্রান্সজেন্ডার নারী ও মেয়েদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে।
আমরা এই পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য কাজ করব।” বোর্ড আরও জানিয়েছে যে, তারা ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিশন (EHRC) থেকে নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে এবং খেলাধুলায় সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই সিদ্ধান্তের ফলে, এখন থেকে শুধুমাত্র যাদের জৈবিক লিঙ্গ নারী, তারাই নারী ও মেয়েদের ক্রিকেট ম্যাচে খেলার যোগ্য হবেন।
তবে, ট্রান্সজেন্ডার নারী ও মেয়েরা মিশ্র বা উন্মুক্ত ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও (FA) একই ধরনের নীতি গ্রহণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
খেলাধুলায় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian