ওয়ারেন বাফেটের মতে, বাণিজ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
সম্প্রতি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাফেট মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বজায় রাখা এবং শুল্ক আরোপের মাধ্যমে অন্য দেশগুলোকে ক্ষুব্ধ করা থেকে বিরত থাকা।
বার্ষিক এই সভায় বাফেট বলেন, বাণিজ্য ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি এক্ষেত্রে সঠিক নয়।
বাফেটের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের ৭.৫ বিলিয়ন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসন্তুষ্ট হতে পারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে থাকা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।
শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্ন ছিল, বার্কshায়ারের হাতে এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ (প্রায় ৩৪৭.৭ বিলিয়ন ডলার) থাকার কারণ কী? বাফেট এর উত্তরে জানান, বর্তমানে তিনি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে পাচ্ছেন না, যা তিনি বোঝেন।
তবে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, খুব শীঘ্রই বার্কশায়ার এমন অনেক সুযোগ পাবে, যখন এই নগদ অর্থ কাজে লাগানো যাবে।
প্রতি বছর এই সভায় যোগ দেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারীরাও ছিলেন। এবার হিলারি ক্লিনটনও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাফেট সাধারণত রাজনৈতিক বা বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলেন, কারণ এতে বার্কশায়ারের ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ৭৩ বছর বয়সী লিন্ডা স্মিথ ওয়ারেন বাফেটের ও বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সম্পর্কে জানতে পারেন ডরিস নামের এক নারীর কাছ থেকে।
ডরিস ছিলেন ওয়ারেন বাফেটের বোন। লিন্ডা জানান, বার্কশায়ারের শেয়ারের দাম শুরুতে অনেক বেশি ছিল। তবে তিনি কলেজ থেকে চাকরি পাওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই শেয়ার কেনার জন্য টাকা জমাতে শুরু করেন।
বর্তমানে সেই শেয়ারের দাম ৮ লাখ ৯ হাজার ৩৫০ ডলার।
বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে বাফেটের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাফেটের এই মন্তব্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতিপথ এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস