গাজায় ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ২৮ জন।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার চালানো হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের এই অঞ্চলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের তীব্রতার কারণে অনেক ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, কারণ তাদের দেহ হাসপাতালের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করার পরেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় পূর্ণ শক্তিতে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপরই হাসপাতাল লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর আহতদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীরা যখন ছুটে যান, তখন দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা হাসপাতালের নিচে হামাসের একটি কমান্ড সেন্টারে আঘাত হেনেছে। তবে তারা তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সেও ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে ফিলিস্তিনের সাংবাদিক হাসান এসলাইহসহ ২ জন নিহত হন। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন হাসান এসলাইহ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫২,৯0৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, হামাস-এর নেতৃত্বে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলায় ১,১3৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে বন্দী করা হয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা