সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মার্কিন ঘোষণার পর আনন্দের ঢেউ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমন খবর আসার পরেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে ‘সিরীয় জনগণের জন্য যুদ্ধের দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক অধ্যায় থেকে বেরিয়ে আসার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
দামেস্কের উমাইয়া স্কয়ারে বহু মানুষ একত্রিত হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তারা গান বাজিয়ে ও গাড়িবহর নিয়ে রাস্তায় নেমে এসে সিরিয়ার পতাকা উড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
হাদা কাসার নামের ৩৩ বছর বয়সী একজন ইংরেজি শিক্ষক বলেন, “আমি খুবই আনন্দিত। এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই পুরো দেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নির্মাণকাজ আবার শুরু হবে, বাস্তুচ্যুত মানুষজন ফিরে আসবে এবং দ্রব্যমূল্যও কমবে।”
ইদlib প্রদেশের বাসিন্দা, ৩৯ বছর বয়সী বাসসাম আল-আহমেদও এই খবরে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “১৪ বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবং আসাদ সরকারের ৫০ বছরের শাসনের পর, সিরিয়ার জনগণের স্থিতিশীল ও নিরাপদ জীবন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”
মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস-এর (এসডিএফ) নেতা মাজলুম আবদিও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই পদক্ষেপ স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনে সহায়ক হবে এবং সকল সিরীয়র জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
দীর্ঘদিন ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সিরিয়াকে বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। এর ফলে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাগুলো সিরিয়ার যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের পথেও বড় বাধা সৃষ্টি করেছে।
এই অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা সিরিয়ার জনগণের জন্য নিঃসন্দেহে একটি আশার আলো।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে সিরিয়ার অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানেও এটি সহায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা