বৈশ্বিক বাজারে ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক উত্থান: বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য
যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে সম্প্রতি দেখা গেছে এক অভাবনীয় উত্থান। এপ্রিল মাসের শুরুতে বাজারের যে পতন শুরু হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠে বিনিয়োগকারীরা এখন প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি মুনাফা করেছেন। এই অপ্রত্যাশিত উত্থান একদিকে যেমন বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে, তেমনই বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সাফল্যের মূল কারণ হলো মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেওয়া কিছু বাণিজ্য শুল্কের সিদ্ধান্তের কারণে বাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়েছে। বিশেষ করে, চীন সহ অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক কমানোর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে। এর ফলস্বরূপ, শেয়ার বাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়।
বাজারের এই উত্থান এতটাই দ্রুত ছিল যে, বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৮২ সালের পর এত দ্রুত পুনরুদ্ধার আর দেখা যায়নি। সাধারণত, বাজারের এমন পতনের পর ঘুরে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু এবার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে।
তবে, এই পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, কিছু বিষয় এখনো উদ্বেগের কারণ। বাণিজ্য শুল্ক এখনো অনেক বেশি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সকলে নিশ্চিত নয়। যদিও শুল্ক কমানো হয়েছে, তবুও তা অর্থনীতির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ফেডারেল রিজার্ভও (Federal Reserve) এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
শেয়ার বাজারের এই উত্থান-পতন একটি জটিল বিষয়। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের পরিস্থিতি সহজে অনুমেয় নয়। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশ্ব বাজারের এই ধরনের পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্ব বাজারের এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি উপকৃত হতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা আসার সম্ভাবনা এপ্রিলের শুরুতে যেখানে ৬০ শতাংশ ছিল, তা এখন কমে এসেছে। তবে, বাজারের এই উত্থান-পতন সব সময়ই অনিশ্চিত। তাই, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং বাজারের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন