ব্রুস স্প্রিংস্টিনের ইউরোপ সফর: এক মনোমুগ্ধকর কনসার্ট।
বিখ্যাত শিল্পী ব্রুস স্প্রিংস্টিনের ইউরোপ সফরের প্রথম রাতের কনসার্ট যেন এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছিল। সঙ্গীতের শক্তি আর তারুণ্যের মিশেলে শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।
কনসার্টে একদিকে যেমন ছিল পুরনো দিনের জনপ্রিয় গান, তেমনই ছিল নতুন কিছু সুরের উপস্থাপন।
কনসার্টের শুরুতেই স্প্রিংস্টিন বর্তমান সময়ের অস্থিরতা নিয়ে কথা বলেন। গানের মাধ্যমে তিনি যেন একটি সুন্দর আমেরিকার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
“ল্যান্ড অফ হোপ অ্যান্ড ড্রিমস” পরিবেশন করার সময় তাঁর আবেগ দর্শকদের ছুঁয়ে যায়। “ডেথ টু মাই হোমটাউন”-এর মতো গানে তাঁর কণ্ঠের তেজ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ই স্ট্রিট ব্যান্ড, যাদের স্প্রিংস্টিন ‘ইতিহাস সৃষ্টিকারী’ দল হিসেবে উল্লেখ করেন, তাদের পরিবেশনা ছিল অসাধারণ। তাদের সম্মিলিত পরিবেশনা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, মনে হচ্ছিল যেন তারা একসঙ্গে গান গাইছে আর পুরো পরিবেশটাকে নাড়া দিচ্ছে।
“ডার্কনেস অন দ্য এজ অফ টাউন” গানের শান্ত পরিবেশনা থেকে শুরু করে “দ্য প্রমিজড ল্যান্ড”-এর গভীরতা, প্রতিটি পরিবেশনাই ছিল মুগ্ধ করার মতো।
কনসার্টে স্প্রিংস্টিন তাঁর ভালোবাসার দেশ আমেরিকার কথা বলেন, যা যেন সময়ের সাথে সাথে তার সম্মান হারাচ্ছে। তবে, হতাশার মাঝেও তিনি আশা জাগিয়েছেন।
“রেকং বল” গানে তিনি কঠিন সময়েও টিকে থাকার বার্তা দেন, যা দর্শকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
কনসার্টের শেষভাগে “ব্যাডল্যান্ডস”, “থান্ডার রোড”, “বর্ন টু রান” এবং “ডান্সিং ইন দ্য ডার্ক”-এর মতো গানগুলো পরিবেশিত হওয়ার সময় দর্শক-শ্রোতারা যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।
বব ডিলানের “চিমস অফ ফ্রিডম” গানটি দিয়ে কনসার্টের সমাপ্তি হয়, যা ভালোবাসার জয় এবং ঐক্যের বার্তা বহন করে।
এই কনসার্টটি ছিল স্প্রিংস্টিনের গভীর অনুভূতি এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার এক দারুণ উদাহরণ। সব ধরনের শ্রোতাদের জন্য এটি ছিল একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান