যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় এক পশুচিকিৎসক, যিনি একটি ঘোড়াকে লাথি মারার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তাকে লেক মীডের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ডা. শন ফ্রেনার (৫৬) নামের ওই পশুচিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে এবং এটি আত্মহত্যা হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে।
ক্লার্ক কাউন্টি করোনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে পেন্টোবারবিটাল নামক একটি ওষুধের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত তার মৃত্যুর কারণকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
ডা. ফ্রেনারের মৃত্যুর কয়েকদিন আগে, একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছিল, যেখানে তাকে একটি ঘোড়াকে লাথি মারতে দেখা যায়। এই ঘটনার জেরে তার বিরুদ্ধে পশু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত শুরু করে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৩ এপ্রিল। লাস ভেগাস থেকে প্রায় ৬০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত একটি খামারে ঘোড়ার চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ডা. ফ্রেনার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘোড়াটিকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়ার সময় তিনি নাকি ঘোড়াটিকে লাথি মেরেছিলেন। খামারের মালিক শওনা গঞ্জালেজ জানান, তিনি তার মাকে বলতে শুনেছিলেন, “ওহ মাই গড, সে তো ঘোড়াটাকে লাথি মারল!” এর পরেই তিনি পশু নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ডা. ফ্রেনার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ঘোড়াটিকে শ্বাস নিতে এবং ভালোভাবে নড়াচড়া করতে সাহায্য করার জন্যই তিনি এমনটা করেছিলেন।
তার মতে, ঘোড়াটিকে সঠিক অবস্থানে আনতেই এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।
ডা. ফ্রেনারের মৃত্যুর খবর শোনার পর শওনা গঞ্জালেজ দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি চাইনি এমন কিছু ঘটুক।
তবে আমি আমার ঘোড়ার হয়ে কথা বলতে পিছপা হইনি। আমি তাদের হয়ে কথা বলব।
ডা. ফ্রেনার নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর আগে, লেক মীডের কাছে তার গাড়ি পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে তার ওয়ালেট, চাবি এবং মোবাইল ফোন ছিল।
যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা ভাবেন, তাহলে তিনি সাহায্য চাইতে পারেন। এই বিষয়ে উপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের জন্য সবসময়ই মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: পিপল