শিরোনাম: কলেজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত: তরুণ সঙ্গীতশিল্পী হাডসন ওয়েস্টব্রুকের সাফল্যের পথে যাত্রা
২০ বছর বয়সী তরুণ সঙ্গীতশিল্পী হাডসন ওয়েস্টব্রুকের জীবন এখন সাফল্যের আলোয় ঝলমলে। তাঁর নতুন গান ‘টেক ইট স্লো’ ২০২৩ সালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে এক ভিন্ন গল্প, যা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।
হাডসন শুরুতে টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে তেল ও গ্যাস বিষয়ে পড়াশোনা করতেন, কিন্তু সঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তাঁকে এই পথে নিয়ে আসে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হাডসন তাঁর জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা শূন্য থেকে একশতে পৌঁছেছি খুব দ্রুত, তবে আমাদের লক্ষ্য শূন্য থেকে মিলিয়নে পৌঁছানো।”
কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, যখন হাই স্কুলের কয়েকজন ছেলে একটি মুদি দোকানের বাইরে তাঁর ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করছিল, তখনই তিনি বুঝতে পারেন তাঁর জীবনটা বদলে গেছে।
ছোটবেলায় টেক্সাসের একটি খামারে বেড়ে ওঠা হাডসন, পেশাদার শিল্পী হওয়ার কথা কোনো দিন ভাবেননি। গান গাওয়াটা তাঁর কাছে নিছকই আনন্দের বিষয় ছিল।
তাঁর মা প্রায়ই বলতেন, “ওয়াও, এটা তো দারুণ, হাডসন!” তবে অন্য কারো কাছ থেকে এমনটা শোনেননি। হাডসন মনে করেন, এই অপ্রত্যাশিত সাফল্য তাঁর কাছে সবচেয়ে আনন্দের।
হাডসন তাঁর সাফল্যের পেছনে জনপ্রিয় শিল্পী মিরান্ডা ল্যামবার্টের পরামর্শকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। মিরান্ডা তাঁকে বলেছিলেন, নিজের মতো করে কাজ করতে এবং অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা না করতে।
নিজের শিল্প সৃষ্টি করে, সেটির সঙ্গে সম্পর্কিত কাজগুলো করতে এবং কখনোই আগের মানুষটাকে পরিবর্তন না করতে।
নিজের প্রতি সৎ থাকার প্রমাণ হিসেবে, হাডসন তাঁর মায়ের কাছে কলেজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর ঘটনাটিও উল্লেখ করেন। তিনি একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন।
মায়ের প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “মা ব্যাকস্টেজে এসে আমাকে বকাঝকা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যেন আমি কী করেছি!” হাডসন মাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, “চিন্তা করো না মা, সব ঠিক হয়ে যাবে!”
বর্তমানে, হাডসন তাঁর গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করছেন। তিনি মনে করেন, তাঁর এই সাফল্যের পেছনে তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং গানের প্রতিচ্ছবিও কাজ করেছে।
হাডসন খুব শীঘ্রই গ্রীষ্মকালে পার্কার ম্যাককলামের সঙ্গে একটি কনসার্টে অংশ নিতে যাচ্ছেন, যা জুলাই মাস থেকে শুরু হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল