ইউরোপের ম্যারাথন দৌড় এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে, দৌড়বিদদের জন্য নতুন দিগন্ত।
বিশ্বজুড়ে দৌড় প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, বিশেষ করে ইউরোপের ম্যারাথনগুলি এখন ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনার বিষয়। সম্প্রতি, ট্রাভেল + লেজার-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই দৌড়গুলির আকর্ষণীয় দিকগুলো এবং দৌড়বিদদের অভিজ্ঞতার কথা।
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে, ইউরোপের জনপ্রিয় ম্যারাথনগুলির একটি চিত্র তুলে ধরা হলো, যা বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদী মানুষের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডন ম্যারাথনে অংশগ্রহণের জন্য একজন দৌড়বিদকে কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম একজন সফল দৌড়বিদের জন্য অপরিহার্য।
লন্ডনের ওয়েস্টিন সিটি হোটেল ম্যারাথন দৌড়বিদদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। দৌড়ের আগে তারা একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন করে এবং দৌড় শেষে বিজয়ীদের জন্য ওয়েস্টিন সিটির রেস্টুরেন্টে চ্যাম্পেইন পান করার ব্যবস্থা করা হয়।
বর্তমানে ইউরোপে “ফিটনেস হলিডে”-র চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ।
শুধু তাই নয়, ইউরোপিয়ান ম্যারাথন সম্পর্কিত গুগলের অনুসন্ধানও এক বছরে ৪০৩ শতাংশ বেড়েছে।
ট্রাভেল রিপাবলিকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের একটি প্রতিবেদনে গুগলে অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন ম্যারাথনগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা সিটি ম্যারাথন এবং সাইপ্রাসের লিমাসল ম্যারাথন।
এই দুটি ম্যারাথনের জন্য গুগলে অনুসন্ধান বেড়েছে যথাক্রমে ১,১০০% এবং ৩৯১%।
এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে প্রাগ ম্যারাথন, প্যারিস ম্যারাথন, কোপেনহেগেন ম্যারাথন, রটারডাম ম্যারাথন, লন্ডন ম্যারাথন, স্টকহোম ম্যারাথন, হামবুর্গ ম্যারাথন এবং মাদ্রিদ ম্যারাথন।
একজন সফল দৌড়বিদের জন্য সঠিক জুতা, উপযুক্ত অ্যাপ এবং সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৌড়ের জন্য উপযুক্ত জুতা বাছাই করতে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
প্রশিক্ষণের জন্য জনপ্রিয় অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে স্ট্রাভা, নাইকি রান ক্লাব এবং রান্না। দৌড়ের সময় শরীরে শক্তি যোগানোর জন্য সঠিক খাবার গ্রহণ করাও জরুরি।
ইউরোপের এই ম্যারাথনগুলির জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে যে খেলাধুলা এবং ভ্রমণের সমন্বয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
এটি শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্যই নয়, বরং নতুন সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচিত হওয়ারও একটি দারুণ সুযোগ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ম্যারাথন এখনো খুব পরিচিত ধারণা না হলেও, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে।
ভবিষ্যতে, বাংলাদেশেও এ ধরনের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে, তা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল + লেজার