প্যারিসে এক রাতে কিম কার্দাশিয়ান, লরেন সানচেজ এবং কেটি পেরি – ঘটনার ঘনঘটা।
প্যারিসে সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মার্কিন তারকা কিম কার্দাশিয়ান। একদিকে যেমন ছিল বন্ধুদের সঙ্গে রাতের আনন্দ, তেমনই ছিল ২০১৬ সালের প্যারিস ডাকাতি মামলার শুনানিতে তার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দেওয়া।
খবর অনুযায়ী, গত ১৫ই মে, বৃহস্পতিবার রাতে ল্যাফেয়েত রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় কিম কার্দাশিয়ানকে দেখা যায় তার বান্ধবী লরেন সানচেজ এবং গায়িকা কেটি পেরির সঙ্গে।
আলো ঝলমলে রাতে কিম পরেছিলেন স্ট্র্যাপলেস টপ এবং পিনস্ট্রাইপযুক্ত প্যান্ট। বাদামী চামড়ার বেল্ট ও সোনালী চেইন দিয়ে সাজানো ছিল তার পোশাক।
বাদামী রঙের একটি ফারের স্টোল এবং কালো হিল জুতোয় দেখা যায় তাকে। অন্যদিকে, জেফ বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ পরেছিলেন সাদা রঙের লম্বা কোট এবং একই রঙের মিনি স্কার্ট।
কেটি পেরিকে দেখা যায় গোলাপি রঙের একটি স্ট্র্যাপলেস পোশাক পরতে। কিমের মা ক্রিস জেনারও এই রাতে তাদের সঙ্গে ছিলেন, পরেছিলেন কালো ভেলভেটের টার্টলনেক এবং স্টাডেড স্কার্ট।
তবে প্যারিসে কিমের এই সফর শুধু বন্ধুত্বের উদযাপন বা ফ্যাশনের ঝলকানি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না। এর আগে, ১৩ই মে, মঙ্গলবার তিনি ২০১৬ সালের প্যারিস ডাকাতির ঘটনার শুনানিতে অংশ নেন।
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে প্যারিস ফ্যাশন উইকের সময় কিম যে হোটেলে ছিলেন, সেখানে পাঁচজন ডাকাত ঢুকে তার ঘর থেকে কোটি কোটি টাকার গয়না লুট করে নিয়ে যায়।
শুনানিতে কিম জানান, ডাকাতরা তাকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে বাথরুমে আটকে রেখেছিল এবং তিনি তখন জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন।
আদালতে শুনানির সময় কিম কার্দাশিয়ান পরেছিলেন একটি কালো রঙের পেplum পোশাক এবং স্যামের হালিমাহ নিউ ইয়র্কের তৈরি করা প্রায় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি নেকলেস, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩২ কোটি টাকার সমান।
এছাড়াও, তিনি ব্রায়োনি রেমন্ড স্লোন পাভ ডায়মন্ড ইয়ার কাফ এবং রেপোসির আরও কিছু গয়না পরেছিলেন। ফরাসি সংবাদমাধ্যম এই ডাকাতদের ‘দাদুর দল’ নামে অভিহিত করেছে, কারণ তাদের বয়স বেশি ছিল এবং আগে অপরাধের রেকর্ড ছিল।
কিম তার সাক্ষ্যে বলেন, “আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমি মারা যাব।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তিনি শুধুমাত্র একটি পোশাক পরে ছিলেন এবং ডাকাতরা তাকে সেভাবে নির্যাতন করে।
কিমের এই সফর যেন একইসঙ্গে আনন্দ এবং বেদনার সাক্ষী। একদিকে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো রাতের স্মৃতি, অন্যদিকে ডাকাতির ঘটনার বিচারের কঠিন মুহূর্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল