বিখ্যাত মার্কিন র্যাপার ও সঙ্গীত প্রযোজক শন “ডিডি” কম্বস-এর বিরুদ্ধে যৌন পাচার, ষড়যন্ত্র এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং অতীতের সম্পর্কগুলো নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে চলমান ফেডারেল আদালতে এই মামলার বিচারকার্য চলছে, যেখানে কম্বস নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
মামলার সূত্রপাত হয় ২০২১ সালে, যখন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাসান্ড্রা “ক্যাসি” ভেন্টুরা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। তাঁদের দীর্ঘ ১০ বছরের সম্পর্কে ডিডি তাঁর জীবন নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ করেন ক্যাসি।
যদিও এই মামলার কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁরা আপোষে মীমাংসা করেন, তবে ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর।
এরপর কম্বসের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ আসতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন আরও অনেকে, যা তিনি অস্বীকার করেছেন।
এমনকি, মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে, যার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ডিডিকে ক্যাসিকে মারধর করতে দেখা যায়।
আদালতে ক্যাসি তাঁর সাক্ষ্যে জানান, ডিডি তাঁদের সম্পর্কের সময় তাঁর জীবনকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং বিভিন্ন যৌন কার্যকলাপে জড়িত হতে বাধ্য করতেন।
ডিডির ব্যক্তিগত জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন।
১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জনপ্রিয় গায়িকা জেনিফার লোপেজের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। এছাড়াও, ১৯৯০ এর দশকে তিনি কিম পোর্টারের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন এবং তাঁদের চারটি সন্তান রয়েছে।
২০১৬ সালে কিম পোর্টার মারা যান। ফ্যাশন ডিজাইনার মিসা হিলটনের সঙ্গে তাঁর একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এছাড়াও, সারাহ চ্যাপম্যানের সঙ্গে তাঁর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সবশেষ, ২০২২ সালে তিনি ডানা ট্রান নামে একজনের সঙ্গে তাঁর সপ্তম সন্তানের বাবা হন।
ডিডি এবং ক্যাসি ভেন্টুরার সম্পর্কের বিষয়ে আদালতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ক্যাসি অভিযোগ করেছেন, ডিডি তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন এবং তাঁর জীবনে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ডিডির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো শুধু তাঁর খ্যাতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকেও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলছে এবং এর ভবিষ্যৎ ফলাফলের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে দ্রুত কোনো নির্ভরযোগ্য সহায়তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি চাইলে এই বিষয়ে আমাদের জানাতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপলস