অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা স্যামের জীবনের এক বিশেষ মুহূর্তের গল্প, যা ভালোবাসা এবং গভীর অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল। ২০১৬ সালে, একাকীত্বের সময় কাটিয়ে তিনি যখন জীবনের নতুন পথে পা বাড়াচ্ছিলেন, তখনই তার জীবনে আসে ওলউইন।
প্রথম দর্শনেই তাদের মধ্যে এক আকর্ষণ তৈরি হয়, যা ধীরে ধীরে গভীর ভালোবাসায় রূপ নেয়।
তাদের প্রথম দেখা হয় মেলবোর্ন টাউন হলের এক নাচের অনুষ্ঠানে। এরপর একটি পার্টিতে তাদের আবার দেখা হয়, যেখানে তাদের মধ্যে কিছু কথা হয়।
স্যামের ভাষায়, সেই সময়টা তার জন্য ছিল “কিছুটা এলোমেলো”। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, এবং তারা একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করে।
স্যাম অনুভব করতে শুরু করেন ওলউইনের প্রতি এক গভীর টান, যা আগে তিনি কখনো অনুভব করেননি। তিনি এমনকি এমন কিছু কথা বলতে শুরু করেন, যা আগে তিনি কল্পনাও করতে পারতেন না।
তাদের সম্পর্কের গভীরতা যখন বাড়ছে, তখনই এক গ্রীষ্মের দিনে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। তারা বন্ধুদের সাথে একটি পার্কে ছিলেন, এবং সেখানে ওলউইনের তীব্র মাইগ্রেনের (migraine) আক্রমণ হয়।
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি খুবই কষ্ট পাচ্ছিলেন। স্যাম জানান, সেই মুহূর্তে তার প্রধান চিন্তা ছিল কীভাবে দ্রুত ওলউইনকে সাহায্য করা যায়।
তিনি তাকে দ্রুত কাছাকাছি একটি বাড়িতে নিয়ে যান এবং তার দেখাশোনা করেন। স্যাম এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি, তাই প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সেই কঠিন সময়ে ওলউইনকে সাহায্য করার পরেই স্যাম বুঝতে পারেন, তিনি সত্যিই ওলউইনকে ভালোবাসেন। তিনি জানান, “তখনই আমি বুঝতে পারলাম, আমার অনুভূতিকে অস্বীকার করা কত বোকা ছিল।”
মাইগ্রেনের প্রকোপ কমে যাওয়ার পর স্যাম ওলউইনকে তার ভালোবাসার কথা জানান।
তাদের সম্পর্কের শুরুটা হয়তো কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু তাদের যাত্রা ছিল খুবই সুন্দর। এরপর তারা একসাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
তারা ২০১৯ সালে মেলবোর্ন থেকে সিডনিতে চলে আসেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং একসঙ্গে অনেক স্মৃতি তৈরি করেছেন।
স্যাম বলেন, তাদের ভবিষ্যৎ এখনো অনেক বড় এবং সুন্দর। তাদের এই ভালোবাসার গল্প বুঝিয়ে দেয়, জীবনের পথচলায় ভালোবাসাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান