বিশ্বজুড়ে সেলিব্রিটিদের পৃষ্ঠপোষকতায় একসময় তেঁতে ওঠা টেকিলার বাজার এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অতিমারীর সময়ে মানুষের মধ্যে মদের প্রতি আগ্রহ বাড়লেও, বর্তমানে সেই চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেক ব্র্যান্ড তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
কেন্ডাল জেনার-এর ‘৮১৮ টেকুইলা’-র মতো সেলিব্রিটি-স্বীকৃত ব্র্যান্ডও তাদের বিপণন কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
**বাজারের কারণ ও প্রভাব**
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেকিলার বাজারে এই অস্থিরতার প্রধান কারণগুলো হলো: ভোক্তাদের ব্যয় হ্রাস, অতিরিক্ত অ্যাগেভ সরবরাহ এবং সম্ভাব্য শুল্ক বৃদ্ধি। অ্যাগেভ হলো টেকিলার মূল উপাদান।
অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে এর দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের মুনাফা কমে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের আশঙ্কা। মেক্সিকো থেকে টেকিলার রপ্তানির ওপর এই শুল্ক বসতে পারে।
বর্তমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (USMCA) বিদ্যমান, যা আগামী বছর শেষ হওয়ার কথা।
এই পরিস্থিতিতে, ভোক্তারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি হিসেবি হচ্ছেন। তাঁরা এখন সাশ্রয়ী মূল্যের ভালো মানের টেকিলার দিকে ঝুঁকছেন।
এর ফলে, ম্যাথু ম্যাককনাঘি এবং ক্যামিলার ‘প্যান্টালোনস’ -এর মতো ব্র্যান্ডগুলো সুবিধা পেতে পারে, যাদের একটি বোতল $৪৫ ডলারে (প্রায় ৫,২০০ টাকার কাছাকাছি) পাওয়া যায়।
প্যান্টালোনস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু ক্রিসোমালিস বলেছেন, “অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে মানুষ এখন আরও সতর্ক হচ্ছে।”
**ভবিষ্যতের পদক্ষেপ**
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেকিলার বৃহত্তম ভোক্তা, যা মেক্সিকো থেকে আসা মোট রপ্তানির প্রায় ৮০%। তবে, বাজারের এই পরিস্থিতিতে অনেক কোম্পানিই তাদের সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রে জমা করছে।
একই সঙ্গে, তারা নতুন বাজারের দিকেও নজর রাখছে। প্যান্টালোনস যুক্তরাজ্যে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে এবং এরই মধ্যে একটি সুপারমার্কেট চেইনের সাথে চুক্তি করেছে।
যুক্ত যুক্তরাজ্যে টেকিলার বাজার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ক্রিসোমালিস বলেছেন, গ্রাহকদের মধ্যে এই পানীয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ম্যাককনাঘির মতো তারকারা এই প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন