চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে আজকাল সচেতনতা বাড়ছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনের চাহিদা। বাজারে চুলের যত্নের জন্য নানান ধরনের তেল পাওয়া যায়, যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হলো ‘মিয়েল অর্গানিক্স রোজমেরি মিন্ট স্ক্যাল্প অ্যান্ড হেয়ার স্ট্রেনদেনিং অয়েল’।
সম্প্রতি এই তেলটি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে, বিশেষ করে চুল বৃদ্ধির জন্য এর কার্যকারিতা নিয়ে।
এই তেলের মূল উপাদানগুলো হলো রোজমেরি, পিপারমিন্ট এবং বায়োটিন। রোজমেরি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
এছাড়া, এটি ত্বককে পুষ্টি যোগায় এবং খুশকি কমাতে সহায়ক। পিপারমিন্ট তেল মাথার ত্বককে আরও বেশি উদ্দীপিত করে, আর বায়োটিন চুল পড়া কমাতে বিশেষভাবে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম, ‘পিপল’, তাদের পরীক্ষক দলের মাধ্যমে এই তেলের কার্যকারিতা যাচাই করেছে।
তাদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা এই তেল ব্যবহার করেছেন, তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যেই নতুন চুল গজিয়েছে। পরীক্ষকরা জানিয়েছেন, কালার করা চুলে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারের ফলে ভালো ফল পাওয়া গেছে।
যদিও এই বিষয়ে ফলাফলের ভিন্নতা থাকতে পারে, কারণ প্রত্যেক মানুষের চুলের ধরন আলাদা।
মিয়েল অর্গানিক্স রোজমেরি মিন্ট তেল ব্যবহারের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তেলটি সহজে ব্যবহার করা যায় এবং এতে কোনো জ্বালা-পোড়ার সম্ভবনা নেই।
তবে, চুলের ধরন অনুযায়ী তেলটি শুষে নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, যার ফলে চুল কিছুটা তৈলাক্ত লাগতে পারে।
এই সমস্যা সমাধানে অনেকে চুল বাঁধার আগে তেল ব্যবহার করেন অথবা সিল্কের কাপড়ের বালিশের কভার ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশে এই তেলটি সরাসরি পাওয়া যায় কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এটি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
কেনার আগে অবশ্যই পণ্যের গুণমান এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে নিতে হবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারের পণ্য, তাই দাম এবং শুল্কের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা দরকার।
আনুমানিক দাম ৮-৯ মার্কিন ডলারের মতো হতে পারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০০০ টাকার কাছাকাছি হবে (পরিবর্তনশীল)।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে শুধু একটি তেলের উপর নির্ভর না করে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
চুল পড়ার সমস্যা, চুলের বৃদ্ধি, বা অন্য কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল