1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 12, 2025 2:47 PM

আতঙ্কে গৃহ নির্মাণ: ট্রাম্পের শুল্কে কি তবে মন্দা?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, May 19, 2025,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির নির্মাণ খাতে মন্দা, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব।

যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজারে দেখা দিয়েছে মন্দা। নতুন বাড়ি তৈরির প্রকল্পগুলো এপ্রিল মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যার পেছনে রয়েছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং অর্থনীতির অনিশ্চয়তা।

নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে দ্বিধা—এই দুইটি প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এক বছর আগের তুলনায় এপ্রিলে নতুন একক পরিবারের বাড়ি নির্মাণের সংখ্যা কমেছে ১২ শতাংশ।

নির্মাণ শুরু হওয়ার অনুমতি বা পারমিটও কমেছে, যা ভবিষ্যতে নির্মাণ কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে ধরা হয়।

মার্চ মাসের তুলনায় এই সংখ্যা ৫.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৬.২ শতাংশ কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির নির্মাণ কমে যাওয়ার এই প্রবণতা এমন এক সময়ে দেখা যাচ্ছে যখন উচ্চ সুদের হার এবং বাড়ির তীব্র চাহিদার কারণে বাড়ি কেনার সামর্থ্য কমে গেছে।

নির্মাণ খাতে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা দেখা দিলে বাড়ির সংকট আরও বাড়তে পারে।

অর্থনীতিবিদ ক্রিস রুপক বলেন, “ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক অস্থিরতা নির্মাণকারীদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি করেছে।

তারা বুঝতে পারছেন, নতুন বাড়ি কেনার জন্য এখন সম্ভবত সেরা সময় নয়, যদি না কেউ খুব জরুরি অবস্থায় থাকেন।

সাধারণত, বাড়ি নির্মাণ শুরু হওয়াকে মার্কিন অর্থনীতির স্বাস্থ্য এবং গতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে দেখা হয়।

এপ্রিল মাসে একক পরিবারের বাড়ি নির্মাণে যে পতন হয়েছে, তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

তবে, সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক শিথিল করার কিছু পদক্ষেপের কারণে হয়তো নির্মাণ কাজ আবারও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, চীন এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত এবং কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ কর বিষয়ক আইন প্রণয়নের ফলে আবাসন খাতে চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অর্থনীতির ইতিবাচক গতি আসতে পারে।

শুল্কের কারণে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ছে।

উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বাড়ি তৈরি করতে ব্যবহৃত সামগ্রীর প্রায় ৭ শতাংশ, যা প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের, আমদানি করা হয়।

এর ফলে নির্মাণকারীরা তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন, যা ক্রেতাদের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ।

এপ্রিল মাসে প্রায় ৬০ শতাংশ নির্মাতা জানিয়েছেন, তাঁরা এরই মধ্যে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়িয়েছেন অথবা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন।

তবে সব নির্মাতা এই বাড়তি খরচ ক্রেতাদের ওপর চাপাতে পারবেন না।

ফলে ছোট নির্মাতাদের কিছু খরচ নিজেদের বহন করতে হতে পারে, যার ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে হয়তো আরও কম সংখ্যক বাড়ি তৈরি হবে।

অন্যদিকে, অ্যাপার্টমেন্ট এবং কনডোর মতো বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন।

এপ্রিল মাসে, পাঁচ বা তার বেশি ইউনিটের ভবন নির্মাণের কাজ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে এবং পারমিট ২ শতাংশ বেড়েছে।

তবে, বহুতল প্রকল্পের পরিকল্পনা সাধারণত আগে থেকেই করা হয় এবং নির্মাণ সামগ্রীও আগে থেকে কেনা হয়ে থাকে।

কিছু নির্মাতা অবশ্য শুল্কের প্রভাব থেকে বাঁচতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

যেমন, ওয়াশিংটন রাজ্যের একটি কোম্পানি, যারা অব্যবহৃত হোটেলগুলোকে অ্যাপার্টমেন্টে রূপান্তর করে, তারা শুল্ক আরোপের আগেই নির্মাণ সামগ্রীর দাম নির্ধারণ করে নিয়েছিল।

এর ফলে তারা প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত শুল্ক দেওয়া থেকে বাঁচতে পেরেছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT