বদলে যাওয়া সঙ্গীতের দুনিয়ায়, স্ট্রিমিং-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে হু হু করে। স্পটিফাই (Spotify), ইউটিউব মিউজিক (YouTube Music)-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন গান শোনার প্রধান মাধ্যম।
কিন্তু এই ডিজিটাল যুগেও একজন মানুষ ফিরে গিয়েছেন পুরনো দিনের সঙ্গী, সিডি-র (CD) কাছে। সম্প্রতি, ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লেখক রিচ পেলি (Rich Pelley) জানিয়েছেন, কেন তিনি স্ট্রিমিং-এর মোহ ত্যাগ করে আবার সিডি-র প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন।
লেখকের মতে, স্ট্রিমিং-এর কারণে গানের প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছিল। স্পটিফাই তার পছন্দ অনুযায়ী গান বাছতে শুরু করার পর, পছন্দের তালিকা থেকে অচেনা গানের ভিড়ে পছন্দের গান খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, “স্ট্রিমিং অনেকটা এমন, যেন একজন সঙ্গীত সমালোচকের সঙ্গে কথা বলা, যিনি আপনার চেয়ে বেশি জানেন, কিন্তু সেই আলোচনাটা উপভোগ্য নয়।”
অতীতে, সিডি কিনে গান শোনার অভ্যাস ছিল লেখকের। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “তখন অ্যালবামগুলো বারবার শুনতাম, যতক্ষণ না সেগুলো ভালো লাগা কমিয়ে দিত, আর ততদিনে হয়তো আমি নতুন অ্যালবাম কিনে ফেলতাম।
এই পুরনো অভ্যাসের প্রতিই যেন তিনি ফিরে গিয়েছেন।
স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর সাবস্ক্রিপশন (subscription) খরচ বেড়ে যাওয়ায়, তিনি তা বাতিল করেন এবং পুরনো সিডি কেনার পথে ফিরে আসেন।
বর্তমানে, তিনি এনএমই (NME) এবং গার্ডিয়ান-এর মতো মাধ্যমে গানের রিভিউ (review) পড়েন। এছাড়াও, টেলিভিশনে শোনা গান ভালো লাগলে, শ্যাজাম (Shazam)-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে সেই গান খুঁজে বের করেন।
এর মাধ্যমে, লেখকের নিজের পছন্দের গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ফিরে এসেছে।
লেখকের মতে, সিডি-র মোড়ক (cover) হাতে ধরা এবং ভেতরের পাতার ছবিগুলো দেখা, এক অসাধারণ অনুভূতি দেয়।
পছন্দের অ্যালবামটি বারবার শোনা যায়, যা স্ট্রিমিং-এর যুগে পাওয়া কঠিন।
তিনি জানান, বর্তমানে তিনি ‘ডিভোর্স’-এর (Divorce) ‘ড্রাইভ টু গোল্ডেনহ্যামার’ (Drive to Goldenhammer) অ্যালবামটি খুব উপভোগ করছেন এবং ‘ওসিস’-এর (Oasis) পুরনো গানগুলো আবার শুনছেন।
ডিজিটাল যুগে, গান শোনার ধরন বদলেছে।
স্ট্রিমিং-এর সুবিধা অনেক, তবে লেখকের এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সঙ্গীতের প্রতি আবেগ এখনো অমলিন।
সিডি-র মাধ্যমে গান শোনা, যেন গানের সঙ্গে একটি নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করে, যা হয়তো স্ট্রিমিং-এর যুগে অনেক সময় পাওয়া যায় না।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান