মার্টিন রোজ: ফ্যাশন দুনিয়ায় এক ব্যতিক্রমী নাম

ফ্যাশন জগতে যারা নিয়মিত আনাগোনা করেন, তাদের কাছে হয়তো মার্টিন রোজ নামটি সুপরিচিত। ব্রিটিশ-জ্যামাইকান এই ডিজাইনার তার ব্যতিক্রমী নকশার পোশাকের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছেন। সম্প্রতি, তার ডিজাইন করা পোশাক পরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন র‍্যাপার কেন্ড্রিক লামার এবং অভিনেতা টিমোথি শ্যালামেট।

তাদের মাধ্যমেই যেন ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে নতুন করে পরিচিতি লাভ করেছেন মার্টিন রোজ।

মার্টিন রোজের পোশাকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে ডিজাইন করা। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত তার স্প্রিং-সামার ২০২৬ সংগ্রহে, এই বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে। পোশাকের উপস্থাপনার জন্য রোজ বেছে নিয়েছিলেন পুরনো একটি সরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্র।

যেখানে একসময় বেকারদের জন্য কাজের সুযোগ খোঁজার ব্যবস্থা করা হতো। সত্তরের দশকে বিখ্যাত ব্রিটিশ পাঙ্ক ব্যান্ড ‘দ্য ক্ল্যাশ’ এই জায়গাতেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। রোজের এই সংগ্রহে বিভিন্ন ধরনের নকশা, যেমন—ভার্সিটি লেদার জ্যাকেট, যা কেন্ড্রিক লামার সুপার বোল অনুষ্ঠানে পরেছিলেন, অথবা টিমোথি শ্যালামেটের পরা নৌ-রঙের স্যুট—এগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল।

মার্টিন রোজের ডিজাইন করা পোশাক শুধু তারকাদের ফ্যাশন সচেতনতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এর মাধ্যমে লন্ডনের সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যের প্রতিচ্ছবিও ফুটে ওঠে। তার পোশাকে প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রণ, যা লন্ডন শহরের সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে।

২০০৭ সালে লন্ডনে নিজের লেবেল তৈরির মাধ্যমে ফ্যাশন জগতে পথচলা শুরু করেন মার্টিন রোজ। প্রথমে শুধুমাত্র শার্ট ডিজাইন দিয়ে কাজ শুরু করলেও, বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একজন ডিজাইনার। কেন্ড্রিক লামার, টিমোথি শ্যালামেট ছাড়াও র‍্যাপার ড্রেক, গায়ক নিক জোনাস, মডেল গিগি হাদিদ, রিহানা, ডুয়া লিপা এবং হেইলি বিবারের মতো তারকারাও রোজের ডিজাইন করা পোশাক পরতে ভালোবাসেন।

ফ্যাশন জগতে নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। সেই হিসেবে, মার্টিন রোজ একজন সফল নারী ফ্যাশন ডিজাইনার, যিনি নিজের কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার সৃজনশীলতা এবং স্বতন্ত্রতা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

বর্তমানে তিনি কোনো বৃহৎ ফ্যাশন হাউসের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে নিজের লেবেল পরিচালনা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। নিজের পথে হেঁটে, নতুন কিছু তৈরি করাই তার প্রধান লক্ষ্য।

তথ্যসূত্র: সিএনএন